সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানোর ধর্ষকদের সংবর্ধনা দিয়েছিল গেরুয়া শিবির, জেলমুক্ত হতেই গলায় মালা পরিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে বরণ করা হয়েছিল তাদের। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কর্নাটকে। পরশুরাম ওয়াঘমারে এবং মনোহর যাদভে, গৌরী লঙ্কেশকে গুলি করে খুনের মামলায় দুই অভিযুক্ত। এদিন তাঁদের কার্যত বীরের সম্মান দিল বেঙ্গালুরুর একটি হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী। ফুলের মালা এবং উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করা হয় সাংবাদিক হত্যায় অভিযুক্তদের। এমন ঘটনায় জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে সেরাজ্যে।
২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুর আরআর নগরের বাড়ির সামনে গৌরী লঙ্কেশকে গুলি করে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর মৃত্যুতে তোলপাড় শুরু হয় গোটা দেশে। তদন্তে নেমে ১৮ জনকে সন্দেহের তালিকায় আনে পুলিশ। যাঁদের মধ্যে মূলচক্রী অমল কালে, দুই হামলাকারী পরশুরাম ওয়াঘমারে ও গণেশ মিসকিন। এই মামলায় গত জুলাই মাসে শর্তসাপেক্ষ জামিনে মুক্ত হন তিন অভিযুক্ত। তাঁরা হলেন অমিত দিগ্বেকর, এইচএল সুরেশ ও কেটি নবীন কুমার। গত ৯ অক্টোবর বেঙ্গালুরু দায়রা আদালত জামিন মঞ্জুর করে আরও আট জনের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এই পরশুরাম ওয়াঘমারে এবং মনোহর যাদভে। যাঁরা ১১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলমুক্ত হন।
এর পর বিজয়পুরায় নিজেদের এলাকায় ফেরার পরেই পরশুরাম ও মনোহরকে বীরের সম্মান দেওয়া হয়। তাঁদের মালা ও উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করেন স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সদস্যেরা। রীতিমতো স্লোগান দিয়ে অভ্যর্থনাও জানানো হয় দুজনকে। পাশাপাশি অভিযুক্তরা দাবি করেন, তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, পরশুরাম এবং মনোহর ছাড়াও বুধবার জামিন পেয়েছেন অমল কালে, রাজেশ বাঙ্গেরা, বাসুদেব সূর্যবংশী, ঋষিকেশ দেবদেকর, গণেশ মিসকিন এবং অমিত রামচন্দ্র বাদ্দি। এই নিয়ে খ্যাতনামা সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে মোট ১২ জন অভিযুক্তই জামিন পেয়ে গেলেন।