সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১১-র বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর ৯৭ রানের অনবদ্য ইনিংসের কথা আজও ভুলতে পারেননি দেশের ক্রিকেটভক্তরা। বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ ছিলেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। আইপিএলেও (IPL) তিনি সফল। নাইটদের অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন দুটি ট্রফি। অথচ বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে তাঁকেই কিনা বাদ দিয়েছিলেন নির্বাচকরা!
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে (Ravichandran Ashwin) নিজের ক্রিকেট জীবনের এক বিশেষ অধ্যায়ের কথা তুলে ধরেন নাইট মেন্টর। সেখানে তিনি বলেন, "আমার তখন ১২-১৩ বছর বয়স হবে। কিন্তু অনূর্ধ্ব ১৪ প্রতিযোগিতার জন্য আমাকে নির্বাচন করা হয়নি। কারণ আমি তাঁদের পা ধরতে রাজি হইনি। তখন থেকে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, জীবনে কখনও কারওর কাছে মাথা নত করব না। আমি চাইও না কেউ আমার পা ধরুক।"
[আরও পড়ুন: দীপ্তি ছড়িয়ে সোনা জিতলেন জীবনজি, বিশ্ব প্যারা অ্যাথলেটিক্সে বিশ্বরেকর্ড ভারতের অ্যাথলিটের]
সেই সময় কম কটাক্ষ সহ্য করতে হয়নি গম্ভীরকে। অনেকেই বলেছিল ক্রিকেট ছেড়ে দিতে। যখনই তিনি ব্যর্থ হয়েছেন, তখনই পরামর্শ এসেছে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার জন্য। ওই সাক্ষাৎকারে গম্ভীর আরও বলেন, "লোকে বলত, তুমি তো ধনী পরিবারের ছেলে। তোমার ক্রিকেট খেলার কী দরকার? তুমি গিয়ে বাবার ব্যবসা সামলাও।"
[আরও পড়ুন: মেসি-মারিয়াকে নিয়ে আর্জেন্টিনা দল ঘোষণা, সুযোগ পেলেন কারা?]
কিন্তু মাঠের মতো বাস্তব জীবনেও তিনি মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন। কোনও কুপরামর্শে কান দেননি। গম্ভীরের স্বীকারোক্তি, "লোকে বুঝত না, আমি তাঁদের জীবনের থেকে অন্যরকম ভাবে বাঁচতে চেয়েছিলাম। ওই ভুল ধারণাটা ভাঙা দরকার ছিল। সেটা আমি পেরেছি। তাই কে কী বলল, আমার তাতে যায়ে আসে না। তার জন্য আমাকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে।" আর তাই গম্ভীরের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতীয় ক্রিকেটের সাফল্যের ইতিহাস। আজও স্মরণীয় হয়ে আছে বিশ্বকাপ ফাইনালের দিন গম্ভীরের জার্সিতে কাদার দাগ।