গৌতম গম্ভীর: ভারতের বাইরে আমার উপভোগ্য ক্রিকেট পরিবেশ হল অস্ট্রেলিয়ার। দারুণ উইকেট সঙ্গে ইতিহাস সমৃদ্ধ স্টেডিয়াম। ঝলমলে সূর্যের আলো ও জমজমাট দর্শক আসন। এমন পরিবেশের স্বাদই পেয়েছি অস্ট্রেলিয়ায়। দক্ষিণ আফ্রিকাও অবশ্য পিছিয়ে নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা আমার অন্যতম পছন্দের জায়গা। আবহাওয়া দারুণ। উইকেটে পেস ও সুইংয়ের মিশ্রণ পাওয়া যাবে।
সম্প্রতি ওখানে কী রকম ব্যবস্থা হয়েছে, সেটা আমার জানা নেই। তবে ২০০৬-০৭ ও ২০১০-১১-র কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেঞ্চুরিয়ানে খেলা পড়লে আমারা জোহানেসবার্গের হোটেল স্যান্ডটনসানে থাকতাম। আপনারা যাঁদের জানা নেই, তাদেঁর বলে রাখি, হোটেল থেকে মাঠের দূরত্ব ছিল দিল্লি থেকে গুরগাঁওয়ের মতো। শপিং মল ঘেরা সেই হোটেলের পরিবেশ ছিল জমজমাট। যেমনটা দিল্লি ও মুম্বইয়ে দেখা যায়। ভারতীয় খাবারের খোঁজে বাইরে যেতাম। ভেজ খাবারের খোঁজে বেরিয়ে ‘পেরি-পেরি চিকেন’ খেয়ে ফিরতাম।
[আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউট করাই পাখির চোখ, ৫ বোলারে নামতে পারে ভারত]
২০১০ সালের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে, সেই বছর সেঞ্চুরিয়ানের উইকেট হঠাৎ দ্রুত গতির হয়ে উঠেছিল। প্রথমে বল ব্যাটে থমকে আসছিল, হঠাৎই দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন ভালরকম পেস সহায়ক হয়ে ওঠে উইকেট। আমার মনে হয়, এবার ভাল ব্যাটিং উইকেট হবে। ওপেনিংয়ে ময়াঙ্ক আগরওয়াল (Mayank Agarwal) ও লোকেশ রাহুলকেই (KL Rahul) রাখা উচিত। ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। ফলে ও খুব ভাল জানবে যে কীভাবে নতুন বল পুরানো করতে হয়। টিম ইন্ডিয়ার (Team India) একাদশের কথা বললে, চেতেশ্বর পুজারা ও অজিঙ্ক রাহানেকে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, আরও কিছু ম্যাচে সুযোগ পাওয়া উচিত পুজারার। মিডল অর্ডারে আমি শ্রেয়স আইয়ারকে দেখতে চাই। দুই দলের বোলিং কম্বিনেশন দুরন্ত। যে কেউ এই ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে পারে।
[আরও পড়ুন: ক্রিকেট ছেড়ে সোজা রাজনীতিতে? জল্পনার মধ্যেই মুখ খুললেন হরভজন]
দেখে ভাল লাগছে যে, বিদেশের মাটিতে ভারতীয় দল ফেভরিট হিসাবে সিরিজে নামছে। ইদানীং বিদেশে ভারত খুব ভাল খেলছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনেও যে ওদের ভাল কিছু করার ক্ষমতা রয়েছে, সেটা কিন্তু অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডে ওরা বুঝিয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কীভাবে খেলতে হবে সেটা খুব ভাল করে জানে ক্রিকেটাররা। আশা করি বিরাট কোহলি (Virat Kohli) বনাম বিসিসিআই (BCCI) বিতর্ক ভুলে এই মুহূর্তে ভারতীয় দল নিজেদের খেলায় ফোকাস করবে। সেঞ্চুরিয়ানে এক পাশে যেমন আছে ঘাসের গালিচা। অন্য পাশে রয়েছে হসপিটালিটি বক্স। তবে খুবই দুঃখজনক বিষয় যে খেলা দর্শকশূন্য মাঠেই হবে। হসপিটালিটিতে কিছু সংখ্যক মানুষ থাকবে। তবে চাইব খুব শীঘ্রই ঘাসের গালিচা ও গ্যালারিতে দর্শক ফিরুক।