সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭ অক্টোবর দিনটিকে বাদ দিলে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ একপেশে। ফলে গাজা (Gaza) এখন নেতনিয়াহু বাহিনীর দখলে। পালিয়ে বেড়াচ্ছে বেঁচেবর্তে থাকা হামাস নেতারা। শহরের বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফাও ‘মৃত্যুপুরী’তে পরিণত হয়েছে। হামাস ‘ইঁদুর’ মারতে হাসপাতালে ধ্বংসলীলা চালাবে ইজরায়েলি ফৌজ (Israeli Army)। ফলে রোগীদের হাসপাতাল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, হাসপাতাল ছেড়ে পালাচ্ছেন অসংখ্য রোগী ও সাধারণ মানুষ। যদিও নেতনিয়াহুর সেনার দাবি, রোগী বা সাধারণ মানুষকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়নি।
শনিবারই জানা গিয়েছিল, হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে মাইকে ঘোষণা দেয় ইজরায়েলি সেনা। হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দেয় তারা। এই সংবাদ প্রকাশ্যে আসায় আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা শুরু হয় ইজরায়েলের। চাপে পড়ে বিবৃতি দেয় নেতানিয়াহুর সেনা। তারা জানায়, কোনও রোগী বা হাসপাতালের কোনও কর্মীকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। যদিও বিবিসির একটি রিপোর্ট বলা হয়েছে, ইজরায়েলের হামলায় হাসপাতালের ঢোকার মুখ গণকবরের পরিণত হয়েছে। অন্তত ৮০টি দেহ পড়ে রয়েছে সেখানে। নেতানিয়াহু সেনার হাসপাতাল ছাড়ার হুঁশিয়ারির পর ৩০০ জন গুরুতর অসুস্থ রোগী ছাড়া সকলেই প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: পর্ন ছবিতে অভিনয়ের চাপ শ্বশুরবাড়ির! মেয়ের আত্মহত্যার বিচার না পেয়ে আত্মঘাতী মা’ও]
হাসপাতালে হামলা নিয়ে নেতানিয়াহু বারবার দাবি করেছে, হাসপাতালগুলিতেই ঘাঁটি তৈরি করেছে প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে আশ্রয় নিয়েছে জঙ্গিরা। তাই হামাসকে নির্মূল করার জন্য হাসপাতালে হামলার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি ইজরায়েলের বক্তব্য, যে সব রোগী হাসপাতালেই থাকছেন, তাঁদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত তারা করবে। হাসপাতালে খাবার, জল এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রীও তারা পাঠিয়েছে বলে দাবি সেনার।