সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমে সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা (America) ও রাশিয়া (Russia)। মার্কিন নির্বাচনে ‘হস্তক্ষেপ’ থেকে শুরু করে সাইবার হামলার মতো একাধিক ইস্যুতে মুখোমুখি দুই মহাশক্তি। এহেন পরিস্থিতিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান ভ্লাদিমির পুতিন।
[আরও পড়ুন: ভারতে করোনা ত্রাণের নামে জঙ্গিদের মদত, ফাঁস পাকিস্তানি সংগঠনগুলির ষড়যন্ত্র]
বুধবার সুইজারল্যান্ডে লেক জেনেভার পাশে একটি শতাব্দী প্রাচীন ভিলায় আলোচনায় বসেন বিশ্বের অন্যতম দুই শক্তিশালী দেশের প্রধান। একাধিক বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। আলোচনা শেষে পুতিন বলেন, “বৈঠকে আমাদের মধ্যে কোনও ধরনের বিরোধ হয়নি। এর বিপরীতে আমরা গঠনমূলক আলোচনা করেছি।” অন্যদিকে, বৈঠক শেষে বাইডেন বলেন, “গোটা বৈঠক এক ইতিবাচক সুরে শেষ হয়েছে।” জানা গিয়েছে, এই সামিটের আগের দিনই জেনিভায় পৌঁছেছিলেন বাইডেন। পুতিন আসেন বৈঠকের ঠিক আগে। প্রথমটা বিমানে ও তার পর গাড়িতে। এ দিন রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের সামনে পাশাপাশি বসলেন বাইডেন-পুতিন। সঙ্গে ছিলেন আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
সূত্রের খবর, কূটনৈতিক শলা মেনে বৈঠক নিয়ে ‘সন্তুষ্ট’ হওয়ার কথা বললেও বাইডেন ও পুতিনের মধ্যে পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। সাইবার হামলা থেকে শুরু করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয় দুই প্রধানের মধ্যে। আর তা প্রকাশ পেয়েছে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাইডেন বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে আমি স্পষ্ট করে দিয়েছি যে মানবাধিকারের বিষয় নিয়ে আমরা বারবার আওয়াজ তুলব। আমাদের সাইবার ক্ষমতা যথেষ্ট প্রেসিডেন্ট পুতিন তা জানেন। তিনি আরও একটা ঠান্ডা লড়াই চান না।” এদিকে, আমেরিকাকেও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন পুতিন। তিনি বলেন, “সাইবার সিকিউরিটির বিষয়টি রাশিয়া, আমেরিকা ও গোটা বিশ্বের জন্য জরুরি।রাশিয়া আমেরিকার শত্রু নয়।” পুতিন আরও বলেন যে উত্তেজনার আবহে দেশে ফিরে আসা দুই দেশের রাষ্ট্রদূত এবার নিজের কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাবেন। বলে রাখা ভাল, মার্কিন মসনদে পালাবদলের পর আরও তিক্ত হয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার সম্পর্ক। ফের তুঙ্গে পৌঁছেছে দুই মহাশক্তির ঠান্ডা লড়াই। এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে নাক গলানো ও সে দেশে সাইবার হামলা-সহ একাধিক শত্রুতাপূর্ণ কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা।