সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যখন সরকার, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থার উপরে আস্থা হারায় মানুষ, তখন শিশুকন্যার ধর্ষক ও খুনিকে আদালতে দাঁড়িয়ে গুলি করে খুন করেন মা! জার্মানির ঘটনা। মায়ের নাম মারিয়ান বাখমায়ার। কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় যার কথা উঠে আসছে আলোচনায়। কবেকার ঘটনা? ঠিক কী ঘটেছিল?
ফ্ল্যাশব্যাকে যেতে হবে চুয়াল্লিশ বছর পিছনে। ১৯৮০ সাল। পশ্চিম জার্মানির শহর সারস্টেডে পরিবারের সঙ্গে থাকত সাত বছরের অ্যানা বাখমায়ার। একদিন হঠাৎ নিখোঁজ হয় সে। অনেক খোঁজার পর মেলে তার মৃতদেহ। ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানায়, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে আনাকে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত ক্লাউস গ্রাবোস্কিকে। তদন্ত সূত্রে জানা যায়, আগেও একাধিকবার শিশুদের যৌন নির্যাতন করেছেন তিনি। তবে কিনা পেশায় কসাই ক্লাউসকে ধরিয়ে দেন তাঁর স্ত্রীই। চাপে পড়ে অ্যানাকে কয়েক ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে খুনের কথা স্বীকার করেন ক্লাউস।
[আরও পড়ুন: সীমান্তে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, জওয়ানদের হাতে রাখি পরালেন কাশ্মীরের বোনেরা]
প্রায় অর্ধ শতক আগের এই ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল গোটা জার্মানি। শুরু হয় ভয়ংকর অপরাধের বিচার। ১৯৮১ সালের ৬ মার্চ ছিল শুনানির তৃতীয় দিন। আদালত চত্বরে থিকথিকে ভিড়। তার মধ্যেই কাঠগড়ায় দাঁড়ানো ক্লাউসকে লক্ষ্য করে আচমকা গুলি চালান মারিয়ানা। পরপর সাতটি গুলি করেন মৃতা শিশুর মা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তের।
[আরও পড়ুন: মায়ের কোল থেকে তিন বছরের শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ! প্রকাশ্যে ভয়াবহ ভিডিও]
পরিকল্পনা মাফিক এই খুনের দায়ে ছ’বছরের জেল হয় মারিয়ানার। ছাড়া পাওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল মারিয়ানার। কন্যা অ্যানের পাশেই সমাধিস্থ করা হয়েছিল মা'কে। কলকাতার হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এই মারিয়ানা আর অ্যানের কাহিনি উঠে আসছে নতুন করে। যেখানে মেয়েকে 'বিচার' দিতে হাতে বন্দুক তুলে নিয়েছিলেন মা।