জার্মানি – ০
পোল্যান্ড – ০
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য: কাঁটাতারের দু’দিকে দু’টো দেশের অবস্থান৷ স্বাভাবিকভাবে রয়েছে রেষারেষিও৷ একে অন্যের সম্পর্কে খুঁটিনাটি যাবতীয় তথ্য জানা জার্মানি ও পোল্যান্ডের৷ ফুটবল মাঠে কিন্তু প্রতিবেশির থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে জার্মানরা৷ এদিন ম্যুলারদের কাছে এই সত্যিটা প্রতিষ্ঠা করার লড়াই ছিল৷ দিনের শেষে ওরা সেটা করতে পারল না৷
পোল্যান্ড কোচ অ্যাডাম নাওয়ালকা যে নিজের ট্যাব বা ল্যাপটপে অনেক ডেটা খরচ করেই এসেছেন, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে প্রথম মিনিট থেকেই
যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন ফিলিপ লামের অভাব এই জার্মানি দলটায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ স্ট্রাইকাররা গোলের জন্য বলই পাচ্ছে না সেভাবে৷ প্রথমার্ধে তাও দু’বার গোলের অনেকটা কাছে চলে যায় জার্মানি৷ আসলে এটাই বড় দলের এক্স ফ্যাক্টর৷ যতই ওদের সামনে পায়ের জটলা তৈরি হোক, ঠিক গোলের রাস্তা তৈরি করে নেয়৷ চুপচাপ ছিল না পোল্যান্ডও৷ ফাঁক পেলেই কাউন্টার অ্যাটাকে আসছিল ওরা৷ বেশ কয়েকবার ন্যুয়ারকে অস্বস্তিতে ফেলে গেল লিওয়ানডস্কিরা৷
একটা সময় পোল্যান্ডের ট্যাকটিক্যাল গেম বেশ ভালই লাগছিল৷ কিন্তু লাভের লাভ হচ্ছিল না কারণ, বেশিরভাগ সময়ই লিওয়ানডস্কি একা হয়ে যাচ্ছিল৷ তার মাঝেও চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি ও৷ আর অন্য সময় ওর সতীর্থরা বড় আসরের অভিজ্ঞতার অভাবে অহেতুক তাড়াহুড়ো করে ফেলছিল৷ লিওয়ানডস্কির অবশ্য আরও দু’টো সমস্যা ছিল৷ এক, জার্মানির বেশিরভাগ ফুটবলারই বায়ার্নে ওর সতীর্থ৷ তাই ওর শক্তিশালী দিকগুলো ওরা খুব ভাল করে জানে৷ তাছাড়া বায়ার্নে ও পিছন থেকে যাদের সাপোর্ট পায়, এখানে তা পায়নি৷
ফুটবলমহলে একটা মিথ বহুল প্রচারিত৷ জার্মানরা শেষ মিনিটের আগে হারে না৷ ভেবেছিলাম এদিনও সেটাই দেখব৷ দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের রোলার চালাবে লো৷ কিন্তু বিরতির পর জার্মানি সুযোগই তৈরি করতে পারল না৷ বরং পোল্যান্ড বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল৷
পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেভাবে নজর কাড়তে না পারলেও পরের রাউন্ডে অন্য জার্মানিকে পাব বলেই আমার বিশ্বাস৷ নক আউটে যে ড্র বলে কিছু থাকবে না৷ তাছাড়া হয়তো নক আউট পর্যায়ের জন্যই নিজের আস্তিনের সব তাস খুলছে না লো৷
The post ঝুঁকি না নিয়ে সেফ ফুটবল খেলল জার্মানি ও পোল্যান্ড appeared first on Sangbad Pratidin.