শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: ঘটের মধ্যে দশ হাজার টাকা রেখে পুজো করলে সংসারের মঙ্গল হবে! অন্ধবিশ্বাসে ভণ্ড সাধুর চক্করে পড়ে হাজার হাজার টাকা খোয়াল ঘাটাল মহকুমার একাধিক পরিবার। পুলিশের দ্বারস্থ প্রতারিতরা।
ঠিক কী হয়েছে? ঘাটাল থানার রাধানগর গ্রামের দাসপাড়ায় হঠাৎ এক সাধুবাবার আবির্ভাব হয়। নদিয়ার মায়াপুর থেকে এসেছে বলেই দাবি করে সে। গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। অনেকেই ভিড় জমান। গ্রামের মানুষের হাত দেখে বলে প্রত্যেকটি পরিবারেই কিছু না কিছু সমস্যা রয়েছে। যে কারণে সংসারে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকে। বাড়িতে পুজোপাট করলে সব ঠিক হয়ে যাবে। সাধুবাবার কথায় প্ররোচিত হয়ে পাড়ার একজনের বাড়িতে পুজোর আয়োজন করা হয়। পুজোর সময় ঘটের মধ্যে প্রত্যেকটি পরিবারের তরফ থেকে দশ হাজার করে টাকা রাখা হয়।
[আরও পড়ুন: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর অসন্তুষ্ট আদালত, জরিমানা হাজার টাকা]
পুজো শেষে সাধুবাবা দাবি করে, ২১ দিন ওই ঘটটি স্পর্শ করা যাবে না। তিনি পাশের গ্রাম থেকে ঘুরে আসার পর ঘট থেকে টাকা নেওয়া যাবে। তবে দিনের পর দিন কেটে গেলেও গ্রামে ফেরেনি ওই সাধুবাবা। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ঘট খুলে দেখেন টাকা নেই। গোটা গ্রামে জোর হইচই। গ্রামবাসীরা বুঝতে পারেন তাঁরা ভণ্ড সাধুবাবার চক্করে পড়ে প্রতারিত হয়েছেন। ঘাটাল থানার রাধানগর গ্রামের দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা চন্দ্রকোণা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ভণ্ড সাধুর শাস্তি দাবি করেন তাঁরা। ওই সাধুর খোঁজ শুরু করেছে ঘাটাল থানার পুলিশ।