shono
Advertisement

যুদ্ধে নিহত রুশ বিমানবাহিনীর আতঙ্ক ‘ঘোস্ট অফ কিয়েভ’, বড় ধাক্কা ইউক্রেনীয় ফৌজের

কিয়েভের দাবি, মোট ৪০টি রুশ ফাইটার জেট গুলি করে নামিয়েছেন তিনি।
Posted: 09:14 AM Apr 30, 2022Updated: 10:02 AM Apr 30, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভুল নিশানায় একের পর এক রুশ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করছেন তিনি। নিজের অদ্ভুত ক্ষমতার জেরে ‘ঘোস্ট অফ কিয়েভ’ বলে শত্রু-মিত্রর কাছে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি। কিন্তু এবার তাঁর সেই লড়াই থেমে গিয়েছে বলেই খবর। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নিহত হয়েছেন ‘কিয়েভের অশরীরী’ ইউক্রেনের (Ukraine) ফাইটার পাইলট মেজর স্তেপান তারাবালকা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভারতকে লড়িয়ে দিতে বাইডেনের হাতিয়ার QUAD, কী করবে নয়াদিল্লি?]

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রায় মাসখানেক আগে যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ‘ঘোস্ট অফ কিয়েভ’ বলে পরিচিত ফাইটার পাইলট মেজর স্তেপান তারাবালকা। ‘ডেইলি মেল’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মার্চের ১৩ তারিখ মাঝ আকাশে রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ‘ডগ ফাইট’ বা লড়াইয়ে ভেঙে পড়ে তারাবালকার মিগ-২৯ ফাইটার জেটটি। তবে শেষ মুহূর্তেও বীরের মতো লড়াই করেন তিনি। একা হাতেই বেশ কয়েকটি রুশ যুদ্ধবিমানকে ঘায়েল করেন ‘ঘোস্ট অফ কিয়েভ’। যদিও শেষরক্ষা করতে পারেননি তিনি। জানা গিয়েছে, সাহসিকতার জন্য মরণোত্তর তাঁকে ইউক্রেনের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘অর্ডার অফ দ্য গোল্ডেন স্টার’ প্রধান করা হয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। পালটা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্বে প্রত্যাঘাত হানে ইউক্রেনীয় ফৌজ। কিয়েভের দাবি, যুদ্ধের প্রথমদিনই রাশিয়ার ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেন মেজর স্তেপান তারাবালকা। সবমিলিয়ে, মোট ৪০টি রুশ ফাইটার জেট গুলি করে নামিয়েছেন তিনি। এহেন তারকা যোদ্ধার মৃত্যুর ফলে জেলেনস্কি বাহিনীর মনোবল জোর ধাক্কা খেয়েছে বলেই মনে করছে সমর বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, টুইটারে ভাইরাল হওয়া অসংখ্য ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেনের ‘মিগ-২৯’ যুদ্ধবিমানের চালকের আসনে এক হেলমেটধারী। ইউক্রেনের নানা শহরে যুদ্ধবিমান নিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। এমনকী, নিখুঁত লক্ষ্যভেদে আকাশ থেকে নামিয়ে আনছেন রাশিয়ান বায়ুসেনার বিমান। যদিও ‘ঘোস্ট অফ কিয়েভ’-এর অস্তিত্বকে নাকচ করে দিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। তাদের দাবি, টুইটারে ভাইরাল ওই ভিডিওটি ভুয়ো। সেটি আসলে ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল কমব্যাট সিমুলেটর’ (ডিসিএস) নামে একটি ভিডিও গেমের ফুটেজ। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের এই দাবিকে অবশ্য মানতে নারাজ ইউক্রেন সরকার।

[আরও পড়ুন: পুতিনের সামনে মাথা নত করছে ইউরোপ! জ্বালানি কিনতে রুশ শর্ত মানল জার্মানি এবং অস্ট্রিয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement