সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ‘ফাইন্ডিং ডোরি’ সিনেমাটি দেখতে গিয়েছিলেন লিভারপুলের এমা জনসন৷ মা এবং সন্তানদের একসঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি হবে না, এমনটাও হতে পারে? তাই ছেলেমেয়েদের নিয়ে ছবি শেষ হওয়ার পরে প্রেক্ষাগৃহে একটি সেলফি তোলেন তিনি৷ দিনের শেষে যখন ছবিটি আবার দেখলেন এমা, তখন সেলফিতে দেখতে পেলেন নিজেকে, তাঁর আট বছরের মেয়ে আভা, ছয় বছরের ছেলে জর্জ এবং ৭ মাসের হার্পকে৷ কিন্তু শুধু পরিবারের এই চারজন ছিল না এই ছবিতে৷ এমা লক্ষ্য করেন, ছবিতে রয়েছে এক পঞ্চম মূর্তি৷ মূর্তি বলার কারণ, এমার সেই ছবিটিতে বাড়তি যাকে দেখা যাচ্ছিল, তার অবয়ব খানিক মানুষের মতো হলেও, আসলে সেটি ছিল একটি ছায়ামূর্তি৷ আপাতভাবে দেখলে মনে হয়, যেন কোনও শিশু চেয়ারের ফাঁক থেকে মুখ বের করে উঁকি দিচ্ছে৷ কিন্তু ঠিক শিশু নয়৷ শিশুর ছায়া৷
ছবিটি দেখে প্রাথমিকভাবে নিজেই ভয় পেয়ে যান এমা৷ তাঁর সন্তানরা যাতে ছবিটি দেখে ভয় না পায়, তাই তিনি তাদের বলেছেন, ‘মূর্তিটি কোনও ঘোস্টবাস্টার সংস্থার তরফ থেকে রাখা রয়েছে৷ এটিই সংস্থার ব্র্যান্ডিং পদ্ধতি৷’
কিন্তু এমা নিজেও জানেন, ভর দুপুরে তাঁদের ছবিতে যার উপস্থিতি ধরা পরেছে, সে কোনও পুতুল বা ব্র্যান্ডিং মডেল নয়৷ সেই মূর্তিটি এমন কারও, যাকে দেখতে খানিক মানুষের মতো হলেও, সে আসলে মানুষ নয়৷ সে হয়তো কখনও মানুষ ছিল৷ বা হয়তো ছিল না৷
কিন্তু এমন ঘটনার সম্মুখীন, এমা ছাড়াও অনেকে হয়েছেন৷ এমন মূর্তি যে সচরাচর অশরীরীর হয়, তা এমা সঠিকভাবে বুঝতে না পারলেও, আপনার নিশ্চয়ই বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না মূর্তিটি কার?
The post সেলফিতে ছায়ামূর্তির আবির্ভাব, আতঙ্কিত পরিবার appeared first on Sangbad Pratidin.