কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: কলকাতার রানওয়ে ছুঁলো বিশ্বের বৃহত্তম অসামরিক পণ্যবাহী বিমান। আন্তনোভ, সংক্ষেপে এ এন ১২৪ নামের রাশিয়ার এই বিমান নেমেছিল দমদম বিমানবন্দরে (Dumdum International Airport)। অসমের একটি খনিতে বিপর্যয় মোকাবিলার যন্ত্র নিয়ে কানাডার ক্যালগারি প্রদেশ থেকে এসে নামে বিমানটি। অসমের কোনও বিমানবন্দরে ওই বিমান আসার মতো বিস্তৃত রানওয়ে না থাকায় সেটিকে কলকাতায় নামানোর ব্যবস্থা করা হয়। তারপর যন্ত্রপাতি নিয়ে সেটি সড়কপথে অসমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পূর্ব ভারতের অন্যতম যোগাযোগ ক্ষেত্র হিসেবে ক্রমেই বাড়ছে কলকাতা বিমানবন্দরের গুরুত্ব। সেদিক মাথায় রেখে পরিকাঠামো আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। একইসঙ্গে বিমানবন্দরের বিস্তৃতি বাড়ানোরও চেষ্টা চলছে। এরইমধ্যে বিশ্বের সবথেকে বড় বিমান কলকাতায় এসে নামার ঘটনা অন্য একটি মাত্রা যোগ করেছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রায় ৫৯ হাজার কেজি মালপত্র এই বিমান বহন করতে পারে। ওজনের দিক দিয়েও এটি অন্যান্য যে কোনও বিমানের তুলনায় বেশি ভারী। রাশিয়ার ওই বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি অনুযায়ী, এটি পৃথিবীর বৃহত্তম অসামরিক পণ্যবাহী বিমান।
[আরও পড়ুন: বেলডাঙায় নৌকাডুবিতে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দিলেন মুখ্যমন্ত্রী]
কয়েক মাস আগে অসমের একটি তৈলখনিতে বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছিল। সেই বিপর্যয় মোকাবিলার কাজে ব্যবহারের জন্য একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র কানাডা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এই দেশে।
জানা গিয়েছে, প্রথমে গুয়াহাটির লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল আন্তনোভ বিমানটির। সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দেওয়া হয় বরদলুই বিমানবন্দরের রানওয়ে ছোট বলে। তারপর ডিব্রুগড় মোহনবাড়ি বিমানবন্দরের কথা ভাবা হয়। কিন্তু সেখানকার রানওয়েতেও ছোটার জায়গা কম বলে নামা সম্ভব ছিল না অন্তনোভের। এই বিমানটির ছোটার জন্য প্রয়োজন ছিল আরও বড় রানওয়ের। তারপর সবদিক বিবেচনা করে কলকাতা বিমানবন্দরের কথা ভাবা হয়। এবং সেখানেই এক সপ্তাহ আগে বুধবার রাতে এসে নামে বিমানটি। এই বিমানে করে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য একটি বিশাল আকৃতির হাইড্রোলিক খননযন্ত্র আনা হয়েছে কানাডা থেকে। রয়েছে আরও কিছু যন্ত্রপাতি। এইসব স্নাবিং ইউনিটের যন্ত্রপাতি সড়কপথে দমদম থেকে রওনা দিয়েছে অসমের বাঘজান-৫ তৈলখনির উদ্দেশে। প্রায় ১৪ দিন লাগবে পৌঁছতে। আশা করা যাচ্ছে আগামী বুধবারের মধ্যে যন্ত্রপাতি বাঘজান পৌঁছে যাবে।