সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে কোনও প্রতিবন্ধকতায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। এই ধ্রুবসত্যকে আরও একবার প্রমাণ করল বছর দশেকের একরত্তি মেয়ে। জন্ম হয়েছে আঙুল ছাড়াই। শুধু আঙুল বললে ভুল হবে, হাতের কব্জির পর থেকেই বাকি অংশ ছিল না ক্রোমোজমের সমস্যার জন্য। কিন্তু তাতে কী! সেই প্রতিবন্ধকতাকে তোয়াক্কা না করে সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছে গেল দশ বছরের সারা হিনেসলে।
[আরও পড়ুন: এক দশক ধরে নিখোঁজ, হ্যাম রেডিওর সৌজন্যে ঘরে ফিরলেন ভিনরাজ্যের প্রৌঢ়া]
আমেরিকায় বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্নদের জন্য আয়োজন করা হয় জেনের-ব্লোসার হাতের লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিজয়ীদের দেওয়া হয় নিকোলাস ম্যাক্সিম পুরস্কার। ২০১৯ সালের নিকোলাস ম্যাক্সিম পুরস্কারটি জিতে নিয়েছে থার্ড গ্রেডের পড়ুয়া সারা। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রতিযোগীদের মানসিক বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকাটা বাধ্যতামূলক। তবে, মাত্র ১০ বছর বয়সের সারা হাতের আঙুল না থাকা সত্ত্বেও যেভাবে হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় সেরার খেতাব জিতে নিয়েছে তাতে অবাক হচ্ছেন বিচারকরাও। তাঁরা বলছেন, এই বয়সে এত ভাল লেখা সত্যিই অবিশ্বাস্য।
[আরও পড়ুন: চামড়াহীন শরীর নিয়ে জন্ম, বিরল রোগাক্রান্ত শিশুকে বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ চিকিৎসকদের]
সারা দুই হাতের কবজির মাঝে কলমটি ধরে। আর একে একে অক্ষরগুলিকে ছবির মতো করে লেখে। ও বলছিল, “আমার অক্ষরগুলো দেখতে খুব ভাল লাগে। এগুলো এক একটা ছবির মতো। বলা ভাল হাতের লেখাটা একটা শিল্পের মতো।” ওর শিক্ষকরা বলছে, ওর যে শুধু প্রতিভাই আছে তা নয়। ও অন্যভাবে ভাবে। একজন শিক্ষিকা বললেন, “ওকে কোনও কাজে না বলতে শুনিনি। হাতের জন্য ও কাঁচি ব্যবহার করতে অসুবিধা হয়। তবুও নিজের হাতে কাগজ কেটে নকশা তৈরি করতে চাই। আসলে এই অদম্য জেদটাই ওকে জিতিয়ে দিয়েছে।” সারার মা ক্যাথরিন বললেন, ছোটবেলা থেকেই প্রস্থেটিক হাত ব্যবহার করতে রাজি হয়নি ও। আসলে ও খুব প্রতিভাবান। যে কাজটাই করে, তাতেই সাফল্য পায়। আসলে শুরু থেকেই নিজের দুর্বলতাগুলিকে জয় করার রাস্তা খুঁজে বের করে। ও খুব বুদ্ধিদীপ্ত। আর এটাই সাফল্যের চাবিকাটি। প্রতিবন্ধকতাকে শুধু ইচ্ছাশক্তির জোরেই জয় করে ফেলেছে ও।