shono
Advertisement

Breaking News

দলের ৯৯ শতাংশ নেতাই সৎ, ‘কাটমানি’প্রসঙ্গে দাবি তৃণমূলের

দলত্যাগী কাউন্সিলররা দুর্নীতিগ্রস্ত, দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
Posted: 09:43 AM Jun 24, 2019Updated: 09:43 AM Jun 24, 2019

স্টাফ রিপোর্টার: কাটমানি নিয়ে একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ পঞ্চায়েত ও কাউন্সিলরের মতো তৃণমূলের একাধিক জনপ্রতিনিধি। গ্রাম, মফস্বল তুলকালাম। তার মাঝেই রবিবার বিবৃতি দিয়ে নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়াল দলীয় নেতৃত্ব।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির, সোমবার বিক্ষোভ কর্মসূচি]

কাউন্সিলরদের বৈঠকে তৃণমূলনেত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছিলেন ৯৯.৯৯ শতাংশ জনপ্রতিনিধি ও দলীয় কর্মীই সৎ। ভিন্ন কিছু রাজনৈতিক দল তৃণমূলের গায়ে দুর্নীতির কলঙ্ক ছেটানোর চেষ্টা করছে।” বিবৃতিতে মহাসচিব প্রশ্ন তুলেছেন সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা ভোটে বিজেপির অর্থব্যয় নিয়েও। তাঁর অভিযোগ, “ভোটে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে বিজেপি। এই টাকার উৎস কী? কাদের কাছ থেকে তোলা হয়েছে? তা নিয়ে বিজেপিকে তো কেউ কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে না?”

সরকারি প্রকল্পে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ কানে আসায় দলীয় বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই বেশ কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। নির্দেশ দিয়ে বলেন, অবিলম্বে কাটমানি ফেরত দিতে হবে। পরদিনই গ্রেপ্তার হন মালদহের এক পঞ্চায়েত প্রধান। একাধিক পঞ্চায়েত প্রধান ও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মানুষ। তার পরই মানুষকে সতর্ক করে তৃণমূলনেত্রী জানিয়ে দেন, অভিযোগ থাকলে নির্দিষ্ট জায়গায় জানান। আইন হাতে নেবেন না। অভিযোগ জমা পড়ার সঙ্গে বিক্ষোভের মাত্রাও বাড়তে থাকে। তাই এদিন বিবৃতি জারি করল তৃণমূল।

[আরও পড়ুন: ‘শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুদিন পালন করলেও, আদর্শ মানেন না’, কৈলাসের নিশানায় মমতা]

সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক, কাউন্সিলর ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধি। তাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত বলে স্পষ্ট অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের মহাসচিব। তাঁর কথায়, “ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিজেপিতে যোগ দিয়ে যাঁরা ভাবছেন দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাবেন, তাঁরা ভুল ভাবছেন। কারও বিরুদ্ধে সামান্য অন্যায়ের প্রমাণ মিললে যে পরিস্থিতি হবে, তা তাঁদেরই সামলাতে হবে। বিজেপি বাঁচাবে না।” এর পরই ভোটে বিজেপির অর্থ ব্যয় নিয়ে তৃণমূল মহাসচিবের প্রশ্ন, “কে নিয়ম ভাঙল? টাকার শক্তি দিয়ে গণতন্ত্রকে কোথায় টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? কেউ বিজেপিকে প্রশ্ন করছে না কেন?” এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের একাংশের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন পার্থবাবু।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement