সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকে (Karnataka Hijab Row) নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে হিজাব বিতর্ক। সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যাওয়ায় ফিরিয়ে দেওয়া হল বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে। ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Mangalore University) সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই আসরে নেমেছে সংখ্যালঘু সংঠনগুলি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ এবং সরকারি নিয়ম সবাইকে মানতে হবে। তাই বিতর্কে না জড়িয়ে পড়াশোনায় মন দেওয়া উচিত পড়ুয়াদের।
আসলে আদালতের নির্দেশ এবং সরকারি নিয়ম মেনে দিন দুই আগেই ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হলে সকলকে পোশাকবিধি মানতেই হবে। অর্থাৎ হিজাব (Hijab Row) পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া যাবে না। সেই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই শনিবার বেশ কয়েকজন পড়ুয়া হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান। কিন্তু তাঁদের ঢুকতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: সন্ধে ৭ টার পর কাজ করানো যাবে না মহিলাদের! যোগী সরকারের নয়া নির্দেশিকায় বিতর্ক]
যা নিয়ে অসন্তোষ দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে। অভিযোগ উঠছে, পোশাকবিধির আড়ালে মুসলিম মেয়েদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের নয়া নির্দেশিকায় মুসলিম পড়ুয়াদের শিক্ষালাভে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। খোদ কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের (Basavaraj Bommai) বক্তব্য, “নতুন করে হিজাব নিয়ে বিতর্ক তৈরির কোনও মানে হয় না। আদালত একটা নির্দেশ দিয়েছে। সেটা সকলকে মানতে হবে। আমি বলব পড়ুয়াদের উচিত লেখাপড়ায় মনোযোগ দেওয়া।”
[আরও পড়ুন: অনুমতি মিলল প্রশাসনের, দ্রুত খুলে যেতে পারে দেশের সর্ববৃহৎ ‘স্বর্ণভাণ্ডার’, কমবে সোনার দাম]
প্রসঙ্গত গত ১৫ মার্চ কর্ণাটক হাই কোর্ট স্পষ্ট জানায়, ইসলাম (Islam) ধর্মাচরণে হিজাব অপরিহার্য নয়। শিক্ষাঙ্গনে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে যে সমস্ত আবেদন জমা পড়েছিল, তাও খারিজ হয়ে যায়। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হলেও কোনও লাভ হয়নি। শীর্ষ আদালতও কর্ণাটক সরকারের ফরমানে স্থগিতাদেশ দেয়নি। যার অর্থ আইনতই হিজাব পরে আর শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারেন না পড়ুয়ারা। সেই নির্দেশ নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।