সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুস্তিগির বনাম ব্রিজভূষণ (Brij Bhushan Sharan Singh) বিতর্কে এবার নয়া মাত্রা যোগ করল দিল্লি পুলিশ। কুস্তিগিরদেরই বলা হল, যৌন হেনস্তার যে অভিযোগ তাঁরা করছেন তার স্বপক্ষে প্রমাণ জোগাড় করতে হবে তাঁদেরই। নিজেদের অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে ছবি, ভিডিও এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট! অর্থাৎ যিনি নির্যাতিতা তাঁকেই দিতে হবে ছবি-ভিডিও। দিল্লি পুলিশের এই ভূমিকায় স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন।
যৌন হেনস্তার অভিযোগে জোড়া এফআইআর হয়েছে জাতীয় কুস্তি ফেডারেশন (WFI) সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁকে পদ থেকে সরানো কিংবা গ্রেপ্তারির মতো কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এমনকী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাতেও কোনও রফাসূত্র পাওয়া যায়নি। তবে গত বুধবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করেন সাক্ষী, ভিনেশরা। তারপরই তাঁরা জানিয়েছিলেন, ১৫ জুনের মধ্যে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে সমস্ত তদন্ত শেষ করতে হবে। তাই সাক্ষীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আন্দোলনের গতিকে কোন দিকে নিয়ে যাবেন, তা ১৫ জুনের পরই ঠিক করবেন।
[আরও পড়ুন: ‘আমার নাম সরান’, ফের NCERT’র উপদেষ্টার পদ থেকে নিজের নাম সরানোর আরজি যোগেন্দ্র যাদবের]
কিন্তু এসবের মধ্যেই আবার কুস্তিগিররা বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, কুস্তিগিরদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ব্রিজভূষণ জেলের বাইরে থাকলে নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়। সাক্ষী মালিক (Sakshee Malikkh), বজরং পুনিয়ারা অভিযোগ করছেন, দিল্লি পুলিশই তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। ছবি, ভিডিও চাওয়া হচ্ছে। একজন নির্যাতিতাকে ব্রিজভূষণের উপস্থিতিতেই রেসলিং ফেডারেশনের দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাও মিথ্যা কথা বলে। সাক্ষী মালিকরা একেবারেই দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) তদন্তে আস্থা রাখতে পারছেন না। যদিও দিল্লি পুলিশ বলছে, তারা নিজেরা ঘটনার তদন্ত করছে। সেই সঙ্গে তদন্তের সুবিধার্থেই কুস্তিগিরদের কাছে প্রমাণ চাওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বাদের শোনানো হবে রামায়ণ, গীতা, ‘দেশভক্ত’ সন্তান গড়তে নয়া উদ্যোগ RSS ঘনিষ্ঠ সংগঠনের]
তবে এসবের মধ্যে ব্রিজভূষণ নিজে অকুতোভয়। রবিবার তাঁর লোকসভা কেন্দ্র গোন্ডায় এক মহার্যালির আয়োজন করছেন তাঁর অনুগামীরা। এদিনের সভা মূলত রাজনৈতিক হলেও, এটিকে ব্রিজভূষণের শক্তিপ্রদর্শনের মঞ্চ হিসাবেই দেখা হচ্ছে।