সুব্রত বিশ্বাস: এজেন্টের থেকে ট্রেনের টিকিট কাটেন? কিন্তু টিকিট টাকার সময় মোবাইল নম্বর দেন না? তাহলে আপনিও কিন্তু পড়তে পারেন বিপাকে। কারণ বহু ট্রেনের সময় বদলে গিয়েছে। অথচ এই তথ্য নেই অনেক যাত্রীর কাছেই। ফলে তাঁদেরই বারেবারে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ ব্যাপারে কিন্তু রেলও (Indian Railways) এবার দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে যাত্রীদের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছে।
রেলের দাবি, টিকিট (Ticket) কাটার সময় মোবাইল নম্বর না দেওয়ার কারণেই যাত্রীদের ট্রেনের সময় বদল সম্পর্কে তথ্য দিতে পারছে না রেল। অর্থাৎ এবার থেকে টিকিট কাটার সময় মোবাইল নম্বর দেওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে, না হলে ট্রেন মিস হবেই।
[আরও পড়ুন: ত্রাতা মন্ত্রী! মুর্শিদাবাদের মৃত আদিবাসী যুবকের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য জাকির হোসেনের]
আসলে অনেক স্টেশন থেকে উঠে গিয়েছে স্টপেজ। ফলে ট্রেনের সময়ও বদলেছে। জিরো বেসড টাইমটেবিলে এই পরিবর্তন জানেন না বহু যাত্রী। ফলে তারা বিপাকে পড়েছেন স্টেশনে গিয়ে। ট্রেন পাচ্ছেন না। সময় এগিয়ে আসার বিষয়টি তারা যেমন জানেন না, তেমনই রেলও তাদের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেনি। এই অভিযোগ ঝেড়ে ফেলতেই যাত্রীদের ঘাড়েই এই দায় চাপানো রেলের। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এজেন্টদের থেকে টিকিট কাটার সময় অনেক যাত্রীই তাঁর মোবাইল নম্বর দিচ্ছেন না। ফলে পিআরএস সিস্টেমে যাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর থাকছে না। সেকারণে ট্রেনের নির্ধারিত সময়ও যাত্রীকে জানানো যাচ্ছে না।
ডিসেম্বর থেকে জিরো বেসড টাইম টেবিলে বহু ট্রেনের সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। এই মেসেজ যাত্রীরা না পেয়ে স্টেশনে এসে ট্রেন মিসও করেছেন। বেশ কিছু জায়গায় যাত্রী বিক্ষোভের মতো ঘটনাও দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি হাওড়া স্টেশনও সাক্ষী থেকেছে এরকম বিক্ষোভের। ট্রেনের সময়সূচী আগাম ঘোষণা না করেই নতুন টাইম টেবিলে ট্রেন চালিয়েছিল ইস্ট কোস্ট রেল (East Coastal Railways)। আর এর জেরে কয়েকশো যাত্রী গত বুধবার দুপুরে ভুবনেশ্বরগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ধরতে পারেননি। ট্রেনটি আগের নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে হাওড়া (Howrah) ছেড়ে রওনা দেয়। ট্রেন না পেয়ে যাত্রীরা স্টেশন মাস্টারের ঘরে বিক্ষোভ দেখান।