সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড অতিমারীর (Pandemic) জন্য হাম (Measles) এবং অন্যান্য রোগের নিয়মমাফিক টিকাকরণ প্রক্রিয়া ব্যাপক বিপর্যস্ত হয়েছে। এই টিকাকরণ প্রকল্প জোরকদমে শুরু করার ডাক দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO।রাষ্ট্রসঙ্ঘের (UN) শিশু শাখা এবং ভ্যাকসিন আলায়েন্স ‘গাভি’-র সঙ্গে এ ব্যাপারে জোট বেঁধেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা জানিয়েছে, তাদের নতুন গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজির অধীনে এক দশকের কম সময়ে ৫০ মিলিয়ন মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম।
“হাম, পীতজ্বর, ডিপথেরিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগের একাধিক অতিমারী আটকাতে হলে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, বিভিন্ন দেশে নিয়মমাফিক টিকাকরণ যেন নির্বিঘ্নে চলতে পারে।” গত সোমবার একটি বিবৃতিতে বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus)।
[আরও পড়ুন: সংকটের দিনে মানবিক গুগল, কোভিড বিধ্বস্ত ভারতকে মোটা অঙ্কের অনুদান পিচাইয়ের]
কোভিডের জন্য বিশ্বের নানা দেশে অন্যান্য রোগের টিকাকরণ আটকে রয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত। যদিও এখনও প্রায় ৫০টি দেশে ৬০টি গণ টিকাকরণ প্রকল্প আটকে রয়েছে। ফলে হাম এবং পোলিওর মতো রোগের ঝুঁকি রয়েছে প্রায় ২২৮ মিলিয়ন লোকের। এর মধ্যে সিংহভাগ শিশু। ‘গাভি’ সংস্থার প্রধান সেথ বার্কলি সতর্ক করে দিয়েছেন, “নিয়মমাফিক টিকাকরণের ক্ষেত্রে দু’দশক ধরে আমরা যে অগ্রগতি করেছিলাম, কোভিডের ধাক্কায় তার অবস্থা খারাপ। সারা বিশ্বে লক্ষ-লক্ষ শিশু বেসিক ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।”
ইউনিসেফ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে হাম-সহ অন্যান্য রোগের টিকার ২.২৯ বিলিয়ন ডোজ বিলি করেছিল তারা। কিন্তু গত বছর সংখ্যাটা নেমে আসে ২.০১ বিলিয়নে। শিশুরোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জমি হারাচ্ছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ, জানিয়েছেন ইউনিসেফ প্রধান হেনরিয়েটা ফোর।