shono
Advertisement

আধার না থাকলে যৌনপল্লির দরজা বন্ধ, নয়া নিয়মের গেরোয় ‘খদ্দেররা’

সুখের পথে কাঁটা! The post আধার না থাকলে যৌনপল্লির দরজা বন্ধ, নয়া নিয়মের গেরোয় ‘খদ্দেররা’ appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 10:40 AM Dec 17, 2017Updated: 12:03 PM Sep 19, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোবাইল নম্বর-আধার যোগ ছাড়া গতি নেই। ভোটার আইডি, প্যান কার্ড থেকে জীবনবিমাতেও একই অবস্থা। কিন্তু এবার থেকে যৌনপল্লির মৌতাতে মজতে হলেও ‘বাধ্যতামূলক’ হচ্ছে আধার। সরকারি কোনও নিয়ম অবশ্য নেই। তবে দালালরা নিজেরাই সে নিয়ম চালু করেছে। যার জেরে বেশ বিপাকেই পড়ে যাচ্ছেন ‘উটকো’ খদ্দেররা।

Advertisement

অর্গ্যাজমে কি জব্দ করা যাবে শরীরের সমস্ত অসুখ? ]

ফেলো কড়ি, নাও সুখ। যৌনপল্লির এটাই মূলমন্ত্র। সে কলকাতা হোক কিংবা গোয়া। পরিচয় সেখানে মুখ্য নয়। এবং গোপনই থাকে। পরিচয় আড়ালে রেখে যৌনসুখ ভোগ করতেই নিয়মিত যৌনপল্লিমুখী হয় খদ্দেররা। কিন্তু সেখানেও আধারের গেরো। আধার ছাড়া যৌনপল্লির দরজায় পা রাখতে দিচ্ছে না দালালরা। কেননা ওঁত পেতে আছে ‘বিপদ’।

OMG! পুরুষের এই কাজেই এবার যৌন ইচ্ছা জাগতে পারে নারীর ]

কী ‘বিপদ’? সে কথায় পরে আসা যাবে। তার আগে পাঁচ যুবকের অভিজ্ঞতা জেনে নেওয়া যাক। সম্প্রতি আধার গেরোয় পড়েছিলেন দিল্লির পাঁচ যুবক। গোয়ায় বন্ধুরা মিলে ব্যাচেলার্স পার্টিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। আগেই এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁদের। ওই ব্যক্তি এসকর্ট সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত। কথামতো, যুবকদের যৌনপল্লি তথা মহিলাসঙ্গের সুযোগ করে দেওয়ার কথা ছিল তারই। গোয়ায় পৌঁছে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন যুবকরা। প্রথমবার কথা হয়। তার বেশ কিছুক্ষণ পর ওই ব্যক্তি পাঁচজনেরই আধার কার্ড চেয়ে বসে। এমনকী কোন হোটেলে তাঁরা আছেন, সেই হোটেলের ট্যাগ সহ রুমের চাবির ছবিও পাঠাতে বলা হয়। এরকম ঘটনা যে ঘটতে পারে তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ওই যুবকরা। কেননা সোশ্যাল মিডিয়া ও ওয়েবসাইটগুলিতে এসকর্ট সার্ভিসের খোলা হাতছানি থাকে। এই বিষয়ে গোয়া বেশ খোলামেলা বলেও পরিচিত। সেখানে যে এরকম আধারের চক্করে পড়তে হবে তা কে জানত!

জানেন কি, বায়ুদূষণের কারণে পিতৃত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন আপনি? ]

কিন্তু কেন এরকম রাস্তায় হাঁটছেন দালালরা? জানা যাচ্ছে, যত্রতত্র দেহব্যবসা নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ। অভিযান চলছে। ধরা পড়ছেন অবৈধ যৌনব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মহিলারা। ফলে এই সাবধানী ‘ছক’ দালালদের। খদ্দের ধরার আগে তারা আগেভাগে দেখে নিচ্ছে, পরিচয় সঠিক কি না। কোনওভাবে পুলিশ যে খদ্দেরের বেশে আসেনি, তা নানাভাবে নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছে। যার একটি মাধ্যম আধার। অপরটি হল ফোন নম্বর চেক করা। এছাড়া যে হোটেলের ঠিকানা দেওয়া হচ্ছে, সেই এলাকা ভাল করে তল্লাশি করে, তবেই যৌনকর্মীদের পাঠানো হচ্ছে। তাও একসঙ্গে চার-পাঁচজনকে পাঠানো হচ্ছে না। কেননা ধরা পড়লে পুরো ব্যবসা লাটে ওঠে। বড় ধাক্কার মুখোমুখি হতে হয়। তাই একজন বা দু’জনকেই পাঠানো হচ্ছে বিপদ এড়াতে। যদি সব নিরাপদ মনে হয়, তারপর বাকিদের।

জানেন, ঠিক কতক্ষণ দীর্ঘ সঙ্গম চান মহিলারা? ]

গোয়ার দালালদের এই কর্মপদ্ধতি মনে ধরেছে অন্যান্য যৌনপল্লির দালালদেরও। তাঁদেরও অনেকে মনে করছেন, পদ্ধতি খারাপ নয়। আধার মারফত পরিচিতি নিশ্চিত হয়ে নিলে আর পুলিশের ভয় থাকে না। অন্যদিকে পুলিশসূত্রের মতে, ওয়েবসাইটে এসকর্ট সার্ভিসের কথা বলে বেশিরভাগ সময়ে পর্যটকদের ঠকানো হয়। আগে টাকা নিয়ে নেওয়া হয়, পরে আর কারও টিকির নাগাল থাকে না। তবে কি আধার পরিচিতি ব্যবহার করে আরও গোপনে অবৈধ দেহব্যবসার চক্র চলবে? সহমত নয় পুলিশ। তাঁদের একাংশের দাবি, আধার মারফত খদ্দেরের পরিচিতি সম্বন্ধে নিশ্চিত হওযা যায়। কিন্তু পুলিশের কাজে তাতে কোনও বাধা পড়বে না। কেননা পুলিশি নেটওয়ার্তে প্রতিটি চক্রের অবস্থানই ধরা পড়বে। ফলে এভাবে অবৈধ ব্যবসা চলবে না বলেই মত তাঁদের।

The post আধার না থাকলে যৌনপল্লির দরজা বন্ধ, নয়া নিয়মের গেরোয় ‘খদ্দেররা’ appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement