সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়ুয়াদের নিয়ে মসজিদে যাওয়ার ‘অপরাধে’ সাসপেন্ড করা হল গোয়ার (Goa) এক স্কুলের প্রিন্সিপালকে। জানা গিয়েছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়ানো উদ্দেশ্যে ওই স্কুলের পড়ুয়াদের মসজিদে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন। অভিযোগ, ওই মসজিদে নিয়ে গিয়ে স্কুলের পড়ুয়াদের জোর করে ইসলাম ধর্মের রীতিনীতি মানতে বলা হয়েছিল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্কুলের সামনে প্রতিবাদ শুরু করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Bharati Parishad) ও বজরং দল (Bajrang Dal)। তারপরেই স্কুলের প্রিন্সিপালকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয় স্কুলের বোর্ড।
জানা গিয়েছে, গত শনিবার স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশনের আমন্ত্রণে মসজিদে গিয়েছিল কেশব স্ম্রুতি বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশনের তরফে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই অন্যান্য ধর্মাবলম্বী পড়ুয়াদের মসজিদে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়াতেই এই উদ্যোগ। স্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের মসজিদে ঢোকার মুখেই ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে নিতে হয়। ছাত্ররা ঢোকার আগে ধর্মীয় রীতি মেনে ‘ওজু’ করেন।
[আরও পড়ুন: বৈঠকের দিনও সমন্বয় কমিটির সদস্যর নাম পাঠাল না CPM, তৃণমূলের স্পর্শ এড়াতে দ্বিমুখী অবস্থান?]
এই ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার থেকে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের নেতারা। ভিএইচপি নেতা সঞ্জু করগাঁওকর জানান, এই আচরণ আসলে স্কুল জেহাদ। এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করা হয় স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। তারপরেই প্রিন্সিপালকে থানায় ডেকে বয়ান রেকর্ড করা হয়। তলব করা হয় স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশনের নেতাদেরও। এই ঘটনার পরেই স্কুলের প্রশাসনের তরফে নোটিস দেওয়া হয় প্রিন্সিপালকে। অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড করা হয় প্রিন্সিপাল শংকর গোয়াঙ্কারকে।