সৈকত মাইতি, তমলুক: সরকারি বই সরবরাহের গুদামে ছাগলের চাষ! বইয়ের মধ্যে মিশছে ছাগলের মল-মূত্র। তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী রেগুলেটিং মার্কেটের এই ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল জেলা জুড়ে।
জানা গিয়েছে, রেগুলেটিং মার্কেটের এই দুটি গোডাউন ঘরে সরকারি বই কলকাতা থেকে এনে তা প্রয়োজন মতো জেলা জুড়ে বিভিন্ন স্কুলে বিলিবন্টন করা হত। অভিযোগ, সেখানেই ছাগল রেখে ব্যবসা হচ্ছে। ফলে সরকারি বইয়ের সঙ্গে একসঙ্গে এই ছাগল রাখার জন্য অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ছাগলের মল-মূত্র বইয়ের সঙ্গে মিশে তা সব ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন বহু লক্ষ টাকার সরকারি বই নষ্ট হচ্ছে তেমনি নোংরা বই শিশুদের হাতে সরবরাহ করায় নানাবিধ রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। স্বাভাবিক কারণেই এমন ঘটনাকে ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে অভিভাবকদের মধ্যেও।
[আরও পড়ুন: শীতের আমেজ বঙ্গে, কলকাতার তাপমাত্রা একধাক্কায় কমল ৩ ডিগ্রি, দশের নিচে পুরুলিয়া!]
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক স্টেশন এবং পুরনো জেলা শাসকের দপ্তর সংলগ্ন রয়েছে শহিদ মাতঙ্গিনী স্বদেশি বাজার রেগুলেটিং মার্কেট। যেখানে ইতিমধ্যেই একাধিক স্টল রয়েছে। আর তারই দু’টি ঘরে রয়েছে সর্বশিক্ষা মিশনের সরকারি বইয়ের পাহাড়।
বইয়ের সঙ্গে ছাগল চাষ কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও অন্ধকারে জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা আধিকারিক মহম্মদ মার্গব ইলমি বলেন, ওখানে আমাদের সরকারি কোনও গোডাউন নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।