সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র দু’দিন। তার পরই অক্ষয় তৃতীয়া। স্বাভাবিকভাবেই পয়লা বৈশাখের পর এই বিশেষ দিনেই সোনার গয়না (Gold) কেনে বাঙালি। আর সেই অক্ষয় তৃতীয়ার আগে সুখবর। সামান্য কমল সোনা-রুপোর দাম। জানেন, কলকাতার বাজারে আজ সোনা-রুপোর দাম কত?
কলকাতার বাজারে শুক্রবার ২৪ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫২ হাজার ৬০০ টাকা। সামান্য কমে শনিবার ২৪ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম দাঁড়াল ৫২ হাজার ৫৫০ টাকা। গতকাল ২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৪৯ হাজার ৯০০ টাকা। শনিবার এই সোনার দাম দাঁড়াল ৪৯ হাজার ৮৫০ টাকা। গয়না তৈরির হলমার্কযুক্ত সোনার (২২ ক্যারেট) দাম ছিল ৫০ হাজার ৬৫০ টাকা। এদিন সেই দাম দাঁড়াল ৫০ হাজার ৬০০ টাকা।
[আরও পড়ুন: তিন মাস ধরে দাউদাউ জ্বলেছিল নালন্দার পাঠাগার, কেন এই মহাবিহার ধ্বংস করেছিলেন খিলজি]
কমেছে রুপোর দামও। শুক্রবার কলকাতার বাজারে ১ কেজি রুপোর (রেডি বার ৯৯৯) দাম ছিল ৬৫ হাজার ৩০০ টাকা। শনিবার সেই দাম দাঁড়াল ৬৪ হাজার ১০০ টাকা। তবে প্রতিদিনই ওঠানামা করছে এই দাম। তবে গয়না তৈরির সোনার দাম ৫০ হাজার টাকার উপরে থাকায় মধ্যবিত্তর কপালে ভাঁজ থেকেই গেল।
যুদ্ধের প্রভাবে বাজারে আগুন। সবজি থেকে জ্বালানি, সবের দামেই মধ্যবিত্তর হাতে ছ্যাঁকা লাগছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) প্রভাবে লাফিয়ে বাড়ছে সোনা (Gold) ও রুপোর (Silver) দাম। শুধু ভারতই নয়, সারা বিশ্বেই এই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। তবে শনিবার ক্রেতা ও লগ্নিকারীদের স্বস্তি দিয়ে কিছুটা কমতে দেখা গিয়েছে দুই মূল্য়বান ধাতুরই দাম।
কেন এতটা বাড়ছে সোনা-রুপোর দাম? কারণ, ইউক্রেনে রুশ হামলার জেরে সংশয়ে ভুগছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে তাঁরা সোনার মতো নিরাপদ ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করতে চাইছেন। এর জেরেই সোনার দাম লাফিয়ে বেড়েছে। আর তার ফলেই নাভিশ্বাস বাজারে।
[আরও পড়ুন: সম্পত্তির লোভে বৈবাহিক সম্পর্কের কথা গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে, গ্রেপ্তার ‘প্রতারক’ নববধূ]
এর আগে করোনা আবহেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল। আসলে বাজার অনিশ্চয়তার মুখে পড়লেই এই ধরনের প্রবণতা তৈরি হয়। বরাবরই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সোনায় ঝুঁকির পরিমাণ অত্যন্ত কম। আর তার ফলেই এই ধরনের পরিস্থিতিতে সোনাতেই বিনিয়োগ করতে চান লগ্নিকারীরা। ফলে দামও বাড়তে থাকে। এর জেরে সাধারণ মধ্যবিত্তদের পড়তে হয় সমস্যায়। এমনকী, সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেও সাধারণ মধ্যবিত্তরা সোনার উপরই ভরসা করেন। কিন্তু দাম রেকর্ড গড়লে তাঁদের পক্ষে সোনা ক্রয় অসম্ভব হয়ে ওঠে।