সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফের সোনা পাচার রুখল বিএসএফ। সঙ্গে ছিল ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্সের (ডি আর আই) টিম। একশোরও বেশি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ থানার বিজয়পুর এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে কৃষ্ণগঞ্জ থানার বিজয়পুর গ্রামে একটি বাড়িতে হানা দেন বিএসএফের (BSF) ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কর্মকর্তারা। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর বা ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স (ডি আর আই) টিমের সদস্যরা। তল্লাশি চালিয়ে মোট ১০৬ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়।
[আরও পড়ুন: অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবি, ৩ দিন বাস ধর্মঘট ডায়মন্ড হারবার ও সুন্দরবন এলাকায়]
ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নাম রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও বিধান ঘোষ। দু’জনই বিজয়পুর গ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, বিপুল পরিমাণে এই সোনার বিস্কুট পাচারের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে বসতবাড়িতে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। সেই খবর পেয়েই হানা দেয় বিএসএফ ও ডিআরআই টিম। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুট গুলির ওজন ১৪.২৯৬ কেজি।
জেরায় ধৃতরা জানায়, উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটগুলি শনিবার সকালে বাংলাদেশের নাস্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ ও নাসির নামের দুই চোরাচালানকারির কাছ থেকে তারা সংগ্রহ করেছিল। সেগুলি বিজয়পুর এলাকা সংলগ্ন গেদে গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ হালদারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের এই পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের কড়া নজরদারি। যার কারণে সোনার বিস্কুট গুলিকে গোপনে বিজয়পুরের বাসিন্দা ধৃত রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ কর্মীরা ও ডি আর আই এর যৌথ অভিযানে সেগুলি উদ্ধার করা হয়।
[আরও পড়ুন: পণের দাবিতে বধূর উপর লাগাতার অত্যাচার স্বামী ও সতীনের, গায়ে ঢালা হল অ্যাসিড!]