সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় চা (Tea)। দামে বেশি হলেও ভাল চায়ে চুমুক দিতে আগ্রহী চা-প্রেমিরা। সেই কারণেই দার্জিলিং চায়ের খ্যাতি গোটা দুনিয়ায়। এমনকী যে চায়ের দাম কিলো প্রতি ১৩ কোটি টাকা তাও নাকি লোকে খাচ্ছে (পান করছে)! খাচ্ছে বলেই লন্ডনের ওই কোটি টাকার চা বিক্রির প্রতিষ্ঠান ‘লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ’ (London Tea Exchange) এবার ভারতেও তাদের শাখা খুলতে চলেছে।
কিছুদিন আগেই ১৩ কোটির চায়ের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। তখনই জানা গিয়েছিল, এই চায়ের শিকড় রয়েছে বাংলাদেশে। বিশ্বের সবচেয়ে দামী চায়ের নাম আসলে ‘গোল্ডেন বেঙ্গল টি’ (Golden Bengal Tea), অর্থাৎ কিনা ‘সোনার বাংলা চা’। যা উৎপাদন হয় মূলত বাংলাদেশের (Bangladesh) সিলেটে। কিন্তু কেন এত দামী? বাগানের সেরা চা তো বটেই, তাছাড়াও ওই চায়ের পাতায় থাকে সোনার প্রলেপ। সেই কারণেই চায়ের নাম হয়েছে ‘সোনার বাংলা’। সেই সোনার বাংলাই এবার গোটা ভারতে ছড়াবে।
[আরও পড়ুন: গুজরাট উপকূলে আটক পাকিস্তানি নৌকা, উদ্ধার কয়েকশো কোটি টাকার মাদক]
‘লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ’ জানিয়েছে, গোটা ভারতেই তারা শাখা খুলতে চলেছে, তবে শুরু করবে রাজধানী দিল্লি (Delhi) অথবা বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে। এরপর একে একে মুম্বই, কলকাতা, হায়দরাবাদেও সোনার চা নিয়ে হাজির হবে এলটিই (LTE)। প্রতিষ্ঠানের এক আধিকারিকের কথায়, ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় চায়ের বাজার। আমরা ভারতের চা-প্রেমিদের নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ দিতে চাই।
একটি বিবৃতিতে এলটিই-র তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম তিন বছরে ভারতে ২০০টি শাখা খোলার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথম বছরে ৫০টি শাখা খোলা হবে। যেখানে গ্রাহক চা ও কফি দুই পাবেন। উল্লেখ্য, এলটিই-র বর্তমান সিইও শেখ আলিউর রহমানের জন্ম কলকাতায়। ফলে ভারতের বাজার সম্পর্কে তিনি সচেতন। সেই মতোই কোটি টাকার চায়ের ব্যবসার সম্প্রসারণ চাইছেন এদেশে।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত টেকনোলজিক্যাল পাওয়ার হাউস’, মোদির সঙ্গে বৈঠকে নতুন সম্পর্কের সূচনা EU প্রেসিডেন্টের]
প্রসঙ্গত, সোনার বাংলা চা প্রকারে ব্ল্যাক টি হলেও স্বচ্ছ পেয়ালায় পরিবেশন করলেই ধারণ করে সোনালি বর্ণ। এই চা প্রস্তুত করতে প্রথম দফায় সময় লাগে প্রায় সাড়ে চার বছর। ৯০০ কেজি উৎপাদিত চা থেকে মাত্র এক কেজি চা পাতা বাছাই করা হয়ে। যার প্রতি পাতায় থাকে ২৪ ক্যারেট সোনার প্রলেপ। এলটিই-র সিইও আলিউর রহমান এক সময় জানিয়েছিলেন, দাম ১৩ কোটি হলেও নোবেল জয়ীরা বিনামূল্যে এই চায়ের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন। অন্যদের অবশ্য পকেট খসাতে হবে।