সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে কেজরিওয়ালকে তুলোধনা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর অভিযোগ, অরবিন্দ কেজরিওয়াল শাহিনবাগে আন্দোলনকারীদের মদত দিচ্ছেন। যোগীর কথায়, “দিল্লির মানুষকে পরিশোধিত জল দিতে পারেন না। এদিকে শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছেন।” জনসভা থেকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, “একসময় কাশ্মীরে যারা সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ত, তাদের বিরিয়ানি খাওয়াত কংগ্রেস ও আপ। আমরা সন্ত্রাসবাদিদের বিরিয়ানি খাওয়াই না, তাদের খুঁজে-খুঁজে গুলি করে মারি।”
শনিবার থেকে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। দিনভর গোটা চারেক জনসভা করেন তিনি। প্রায় প্রতিটি জনসভায় দিল্লিতে চলতে থাকা CAA প্রতিবাদ নিয়ে আপ সরকারকে দুষেছেন যোগী। তাঁর কটাক্ষ, “দিল্লির সর্বত্রই CAA বিরোধী প্রতিবাদ চলছে। আর সেই সব আন্দোলনকে বিরিয়ানি উৎসবে পরিণত করেছে সরকার।” এদিনের জনসভায় কেন্দ্র সরকারের প্রশংসা করতে গিয়ে কাশ্মীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আগে সেনাবাহিনীর দিকে পাথর ছুঁড়লে টাকা পাওয়া যেত। উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর সেই কৌশল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যারা পাথর ছুঁড়ত তাদের সমর্থন করতেন কংগ্রেস এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। কংগ্রেস আর কেজরিয়াল ওদের বিরিয়ানি খাওয়াতে পারে কিন্তু আমরা বুলেট খাওয়াচ্ছি।”
[আরও পড়ুন : একধাক্কায় অনেকটা কমল ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান’ যোজনার বরাদ্দ! সমস্যায় কৃষকরা]
এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “কেজরিওয়াল দিল্লির উন্নয়ন চান না।বরং উনি চান শাহিনবাগ। এবার আপনারাই ঠিক করুন, আপনারা কোনটা চান?” এদিন তিনি শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের পূর্বপুরুষদের ভারত বিভাজনকারী বলেও তোপ দাগেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “CAA বিরোধিতায় দিল্লির রাজপথে বিক্ষোভ হচ্ছে না। আন্দোলনকারীদের পূর্বপুরুষরা ভারত ভাগকে সমর্থন করেছিল। তাই এঁরাও ভারতকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শক্তিশালি হতে দিতে চায় না।”
[আরও পড়ুন : কেরলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরও এক, আতঙ্কিত রাজ্যবাসী]
রাজনৈতিক মহলের কথায়, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের শেষ ল্যাপে মরণ কামড় দিতে কোমর বেঁধেছে বিজেপি। তাই যোগী-সহ বিজেপির একাধির হেভিওয়েট নেতাকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বের প্রচারে এটা স্পষ্ট যে, এই নির্বাচনে বিজেপির মূল হাতিয়ার শাহিনবাগ সহ-CAA বিরোধী সমস্ত আন্দোলন বিরোধিতা। দিল্লির উন্নয়নের বদলে আপ সরকার এই আন্দোলনে ইন্ধন জুগিয়ে দিল্লিবাসীর সমস্যা তৈরি করছে, তা প্রমাণ করতে মরিয়া গেরুয়া ব্রিগেড। কিন্তু তার ফল মিলবে কি? জানতে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
The post ‘বিরিয়ানি নয়, জঙ্গিদের গুলি খাওয়াই’, দিল্লির নির্বাচনী প্রচারে স্বীকারোক্তি যোগীর appeared first on Sangbad Pratidin.