shono
Advertisement

তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, রণক্ষেত্র শালিমার, মোতায়েন পুলিশ ও RAF

খুনের চেষ্টার নেপথ্যে রাজনৈতিক হিংসা নাকি জমিবিবাদ?
Posted: 11:53 AM Apr 21, 2021Updated: 12:18 PM Apr 21, 2021

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ভোটের (West Bengal Assembly Elections) মরশুমে ফের শুটআউট হাওড়ায়। তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় শালিমারের ৫ নম্বর গেটের লালকুঠি এলাকায়। নামানো হয় প্রচুর পুলিশ, RAF।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল (TMC) কর্মীর নাম ভোলা রায়। মঙ্গলবার রাত ১১ টা নাগাদ শালিমার ৫ নম্বর গেটের লালকুঠির সামনে ছিলেন ওই যুবক। সেই সময় ভোলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যান হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা চলছে তাঁর। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ব্যাপক ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁদের সামনেও চলে অশান্তি। পরবর্তীতে নামানো হয় RAF। দীর্ঘক্ষণ পর শান্ত হয় এলাকা। ঘটনার পর বেশ কয়েকঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে শালিমার।

[আরও পড়ুন: দিল্লি থেকে বাংলায় আসছে না করোনা ভ্যাকসিন, লাইনে দাঁড়িয়েও ফিরে যাচ্ছেন মানুষ]

কিন্তু কেন এই হামলা? জানা যাচ্ছে, গত বছর ২৯ ডিসেম্বর হাওড়ার শালিমারে দিনে দুপুরে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের যুব নেতা ধর্মেন্দ্র সিংকে। সেই ঘটনায় আহত হন তাঁরই মোটর বাইকের পিছনে বসে থাকা সঙ্গী ভোলা রায়। ওই ঘটনায় হাওড়া সিটি পুলিশ ও বি গার্ডেন থানার পুলিশ মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন অভিযুক্তকে বর্ধমান, ডানকুনি ও হুগলি থেকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে উঠে আসে প্রোমোটিং এবং জমি সংক্রান্ত বিবাদের তত্ত্ব। সেই ঘটনার জেরেই ভোলার উপর হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: ফের জাতীয় স্তরে মুখ উজ্জ্বল গ্রামবাংলার, ভাল কাজের জন্য পুরস্কৃত ৭ জেলার ১১ পঞ্চায়েত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার