সোহম দে: দেশভাগের অন্ধকারের সময় কীভাবে আশার আলো হয়ে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল? ডার্বির সমস্ত অপরিচিত নায়ক কারা? পঞ্চপাণ্ডবের সেই সমস্ত সোনার কীর্তি! আর দু’বছর পরেই ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ পূর্তি। যার আগেই লাল-হলুদ সমর্থকদের আগাম উপহার ইস্টবেঙ্গলের তথ্যচিত্র। যে তথ্যচিত্র পরিচালনার দায়িত্বে দেশের অন্যতম সেরা পরিচালক গৌতম ঘোষ।
[গভীররাতে শহরে পা সোনির, বিমানবন্দরে আবেগে ভাসলেন সমর্থকরা]
পঞ্চপাণ্ডবের সেই সোনার সময় থেকে শুরু করে স্মরণীয় আশিয়ান জয়। প্রতিটা পর্বই থাকছে। কিন্তু ফুটবলের থেকেও তথ্যচিত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে সামাজিক ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অবদানের কথাকে। দেশভাগের সময় কীভাবে লোকজনদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মাঠে একটার পর একটা গৌরবগাথা লিখে কীভাবে লাল-হলুদ হয়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষদের অনুপ্রেরণার মন্ত্র, সেই বার্তাটাই দেওয়া হবে। আবার ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাসের মেঘে ঢাকা তারাদের কথাও জানানো হবে। যে সমস্ত অজানা নায়কদের সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।
তথ্যচিত্রের টিমের সঙ্গে যুক্ত থাকা এক সদস্য জানালেন, চূড়ান্ত স্ক্রিপ্ট তৈরি হতে এখনও সময় লাগবে। আগে পুরোদমে চলবে রিসার্চ। প্রায় দেড় মাসের ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে সেই গবেষণার। প্রচুর ভিডিও ফুটেজ জোগাড়ের চেষ্টা চলছে। রিসার্চ পর্বের পরে চূড়ান্ত স্ক্রিপ্ট তৈরি করবেন ষোলোবার জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক গৌতম ঘোষ। তবে জানুয়ারি মাসের আশপাশ থেকে তথ্যচিত্রের কাজ শুরু হওয়ার কথা ঠিক হয়ে আছে। তথ্যচিত্রের ধারা বজায় রেখে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের উপর জোর দেওয়া হবে। প্রবাদপ্রতিম সমস্ত ফুটবলারদের সাক্ষাৎকার থাকবে এই ডকুমেন্টরিতে। ডার্বি নিয়ে অবশ্যই থাকবে একটি বিশেষ সেকশন।
[রোটাং পাস যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, শিমলায় বাঙালি পর্যটকের মৃত্যু]
দু’বছর পর ২০২০ সালে ইস্টবেঙ্গলের একশো বছর পূর্তি হলেও তার আগেই এই তথ্যচিত্র শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। ক্লাবের তরফে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, পঞ্চাশ মিনিটের তথ্যচিত্র করার কথা ভাবা হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গলের মিডিয়া প্রধান গৌতম রায় বললেন, “আমরা চেষ্টা করছি ইস্টবেঙ্গলের সেই সমস্ত কাহিনি বলতে যা আগে কেউ কখনও শোনেননি। অনেক লাল-হলুদ সমর্থক আছেন যাঁরা ক্লাবের অনেক নায়কের সম্পর্কে সবটা জানেন না। তাঁরা ক্লাবের সেই ইতিহাসটাও জানতে পারবেন।”
The post ইতিহাস এবার পর্দায়, ‘শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গল’-এর পরিচালনায় গৌতম ঘোষ appeared first on Sangbad Pratidin.