সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপাল অনির্দিষ্টকালের জন্য বিল আটকে রাখতে পারেন না। বিলে অসম্মত হলে সেটা ফেরত পাঠাতে হবে বিধানসভায় (Assembly)। কিন্তু আটকে রাখা যাবে না। স্পষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। পাঞ্জাব সরকারের (Punjab Government) করা মামলার প্রেক্ষিতে এই রায়। বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ওই রায়ের কপি আপলোড করা হয়েছে। তাতে পাঞ্জাবের রাজ্যপালকে রীতিমতো তুলোধোনা করে বলে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যপাল বিলে অসম্মত হতেই পারেন, কিন্তু বিলটি তিনি অসম্মতি প্রকাশ করে বা সম্মতি প্রকাশ স্থগিত রেখে আটকে রাখতে পারবেন না। অবিলম্বে বিলটি ফেরত পাঠাতে হবে।
[আরও পড়ুন: টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন: মহুয়া বিতর্কের পর বদলে গেল সংসদীয় ওয়েবসাইটে লগ ইনের নিয়ম!]
রাজ্যপালের উদ্দেশে বিচারপতিরা স্পষ্ট বলছেন, রাজ্যপাল জনপ্রতিনিধি নন। তাই সরকারের আইন প্রণয়নের কাজে তিনি বাধা দিতে পারেন না। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) বক্তব্য, সংসদীয় গণতন্ত্রে আইন প্রণয়নের অধিকার শুধু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। তাতে কোনওভাবেই ‘ভেটো’ দিতে পারেন না রাজ্যপাল। সরকারের কাজকে ব্যাহত করার উদ্দেশে তিনি সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে বাধা দিতে পারেন না।
[আরও পড়ুন: বিলম্বিত ন্যায়বিচার, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এবার অনশনে যাদবপুরেরই অধ্যাপক]
নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যপালের কাজে কোনও বিল পাঠানো হলে তিনি সেটায় সই করে সম্মতি দিতে পারেন। অসম্মত হলে বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে পারেন। আবার রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠাতে পারেন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, একাধিক রাজ্যের রাজ্যপাল এগুলির কোনওটাই করছেন না। বিলগুলি রাজভবনে আটকে থাকছে। এবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিল, রাজ্যপাল বিল আটকে রাখতে পারবেন না। কোনও একটা পদক্ষেপ করতেই হবে তাঁকে। এই রায় বাংলা-সহ দেশের একাধিক রাজ্যের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। স্রেফ বাংলাতেই রাজভবনে ২২টি বিল আটকে আছে।