নব্যেন্দু হাজরা ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ (Cyclone Yaas)। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে দুর্যোগ। পরিস্থিতি মোকাবিলার সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে সংঘাত ভুলে রাজ্যের কাজের প্রশংসা করলেন ধনকড়। কীভাবে কাজ করা হচ্ছে, তা দেখতে নবান্নে হাজির হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে ত্রস্ত গোটা রাজ্য। ভয়ংকর ক্ষতির আশঙ্কা করছেন উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। দুর্যোগ আটকানো না গেলেও পরিস্থিতি মোকাবিলার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই প্রায় ৯ লক্ষ মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। জনজীবন যাতে বিপন্ন না হয় সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকেল ৪ টেয় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানকার অধিকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে ‘যশ’ মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজ্যপাল। বলেন, ” আমফানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হোক কেউ আমরা চাই না। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে যেভাবে কাজ করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। সব কাজেই এভাবে সমন্বয় রাখা প্রয়োজন।” পাশাপাশি ধনকড় জানান, ইতিমধ্যেই তিনি নৌ সেনা, ইস্টার্ন কম্যান্ড, সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থার অবনতি, ভরতি হাসপাতালে]
হাওয়া অফিস থেকে বেরনোর পরই নবান্নে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা টুইটে জানান জগদীপ ধনকড়। জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নবান্নের কন্ট্রোল রুমে ঠিক কী ভাবে কাজ হচ্ছে, তা দেখতেই সেখানে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সেখানে বৈঠক করবেন তিনি।