সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: দেশীয় বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগেই গম রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত। এবার গমজাত দ্রব্য যথা আটা, ময়দা, সুজি রপ্তানি প্রভৃতিতেও রাশ টানার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। আগামী ১২ জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। এর পর থেকে আটা-ময়দার মতো গমজাত দ্রব্য রপ্তানির ক্ষেত্রে লাগবে মন্ত্রক কমিটির অনুমতি। ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড’-এর তরফে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আটার রপ্তানিতে ছাড় থাকলেও তা একান্ত ভাবেই মন্ত্রক কমিটির অনুমতিসাপেক্ষ।
উল্লেখ্য, মে মাসেই কেন্দ্রের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে ঘোষণা করা হয় আপাতত গম রপ্তানি বন্ধ রাখছে ভারত। আসলে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ সেনা ঢুকে পড়তেই তার সর্বব্যাপী প্রভাব পড়তে শুরু করে আন্তর্জাতিক বাজারে। এর মধ্যে রয়েছে গমও। বিশ্বের মোট গম রপ্তানির ২৯ শতাংশই সরবরাহ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
[আরও পড়ুন: ইডি সক্রিয় হতেই ভারত থেকে ‘পলাতক’ চিনা মোবাইল সংস্থা VIVO’র দুই ডিরেক্টর]
কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের টালমাটাল পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে গমের জন্য ভারতেরই উপর নির্ভরশীল বিশ্ব। ভারতই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু তবু ভারতকে গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। দেশীয় বাজারে গম ও গমজাত দ্রব্যের দাম ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পরই এই পদক্ষেপ করে কেন্দ্র। এবার রাশ টানা হল আটা, ময়দা, সুজির রপ্তানিতেও।
গমজাত দ্রব্য রপ্তানিতে করেও প্রচুর বিদেশি মুদ্রা আয় করে ভারত। ২০২১-২২ সালে এই বাবদ সব মিলিয়ে ২৪৬.৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল দেশ। কিন্তু এবার বাধ্যতই রপ্তানিতে রাশ টানার সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: থানে পুরসভাও হাতছাড়া উদ্ধবের, ৬৬ কাউন্সিলর যোগ দিলেন শিণ্ডে শিবিরে]
মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই ভেঙে আট বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি। জ্বালানি তেল ও রান্নার গ্যাসের পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় নানা জিনিসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। তারই প্রতিফলন মুদ্রাস্ফীতিতেও। সেই তালিকায় রয়েছে গমও। এবার গম রপ্তানি বন্ধের পরে গমজাত দ্রব্যের রপ্তানিতেও রাশ টানার সিদ্ধান্ত নিতে হল কেন্দ্রকে।