রাজা দাস, বালুরঘাট: দাদুকে খুনের পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি নাতির। পুকুর থেকে বৃদ্ধের দেহ উদ্ধারের পর সামনে এল ‘গুণধর’ নাতির কুকীর্তি। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের সুকদেব গ্রামের ঘটনায় জোর শোরগোল। বৃদ্ধর নাতিকে আটক করেছে পুলিশ।
অশীতিপর বৃদ্ধ গৌড়লাল সরকার নাতি এবং নাতবউয়ের সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার শুকদেব গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। গত শনিবার তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। নাতি ও নাতবউ দাদুকে ঘরে রেখে বোল্লা মেলায় যান। বাড়ি ফিরে দেখেন দাদু নিখোঁজ। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের ছেলের জন্মদিন নিয়ে ‘অপপ্রচার’, শুভেন্দুকে নোটিস দিচ্ছে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন]
বৃহস্পতিবার সকালে বৃদ্ধের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বৃদ্ধের দেহ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। শোরগোল পড়ে যায় ওই গ্রামে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সম্পত্তির লোভেই ওই বৃদ্ধকে খুন করেছে বৃদ্ধের নাতি। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে হাত-পা বেঁধে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বৃদ্ধের নাতি অমরেশ সরকারকেও আটক করেছে পুলিশ।
বৃদ্ধের প্রতিবেশী সুনীল বিশ্বাস ও রামকৃষ্ণ মণ্ডলের দাবি, চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন গৌড়লাল সরকার। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই বৃদ্ধ খুব ভাল মানুষ ছিলেন। এলাকার সকলের খুব প্রিয় ও কাছের মানুষ। সম্পত্তির লোভে তাঁর নাতিই যে এমন কাজ করবে, তা আমরা ভাবতে পারিনি। দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।