সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) সেন্ট্রাল ভিস্তা (Central Vista) প্রকল্প নিয়ে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে এই প্রকল্পের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। তা সত্ত্বেও কাজ চলছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বৃহস্পতিবার নির্মীয়মাণ সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ ও নতুন সংসদ ভবনের ছবি শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সঙ্গে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন নির্মাণকর্মীদের। তাঁদের পরিশ্রম ও অধ্যবসায়কে কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি।
দু’টি আলাদা আলাদা পোস্টে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন হরদীপ। লিখেছেন, ‘‘পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের সঙ্গে আমাদের কর্মীরা আগামী প্রজন্মের ঐতিহ্যময় স্থাপত্যকে রূপ দিচ্ছেন।’’ এর পাশাপাশি বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে তিনি দাবি করেন, বিরোধী সাংসদরাও এর রূপে মুগ্ধ হবেন। প্রসঙ্গত, এর আগে তিনি এই প্রকল্পকে আধুনিক ভারতের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘রসিকতা করেছিলাম’, আদালতে ‘সব মোদিই চোর’ মন্তব্যের সাফাই দিলেন রাহুল]
আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘কাজ চলছে। দ্রুত এগচ্ছে। সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউয়ের নতুন লুকে রয়েছে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের এমন সমাহার যা শহরের হৃদয় হয়ে উঠছে। অনেক বেশি জায়গা। জনসাধারণের সহজে যাতায়াতের ব্যবস্থা। আরও সবুজ ও আরও ভাল।’’
[আরও পড়ুন: ‘টিকা না নিলে ভারত চলে যান’, ফের বিতর্কিত মন্তব্য ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট দুতার্তের]
গত এপ্রিলে দেশে আছড়ে পড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতেই দিল্লিতে পুরোদমে চলতে থাকে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ। যা নিয়ে সরব হন বিরোধী থেকে শুরু করে সমাজকর্মী এবং একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তবে তা সত্ত্বেও থেমে থাকেনি কয়েক হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ। শোনা যায়, এই কাজের ছবি তোলা কিংবা ভিডিও তুলতেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তবে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজেই শেয়ার করলেন ছবি।
এদিকে এমাসের শুরুতেই কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই প্রকল্পের মূল পরিকল্পনা ও মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হয়েছিল ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। সেই সময় করোনার কোনও অস্তিত্বই ছিল না দেশে। যে ২০ হাজার কোটি টাকার কথা বলা হচ্ছে সে সম্পর্কেও জানানো হয়েছে সংসদের নতুন ভবন, সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ, আরও বহু ভবন ইত্যাদি মিলিয়ে যা খরচ হবে তারই একটি আনুমানিক মূল্য ওই অঙ্ক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে ১৯৫ কোটি টাকাই খরচ হয়েছে, যেখানে ২০২১-২২ সালের বাজেটে তার জন্য বরাদ্দ ছিল ৭৯০ কোটি টাকা।