সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবেশ বাঁচাতে বিশ্বকে পথ দেখিয়েছিল সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গ। সুযোগ পেলেই নিয়ম করে রাষ্ট্রনেতাদের সামনে পরিবেশ সচেতনতামূলক স্লোগান তুলে রীতিমত শোরগোল ফেলে দেয় সে এবং তার সমবয়সিরা। মাদ্রিদের পরিবেশ সম্মেলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। সম্মেলন চলাকালীন বাইরে গ্রেটা ও তার বন্ধুরা স্লোগান দিতে থাকে। মিনিট খানেক তাদের এই প্রতিবাদের পরই বিপত্তি বাঁধল। জনগণ ঘিরে ধরে তাদের। উদ্দেশ্য একটাই, ষোড়শী সুইডিশ কন্যার সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানো। এত লোক দেখে ভীষণ বিরক্ত গ্রেটা। পরিবেশ সচেতনতা থেকে সমস্ত নজর ঘুরে গেল গ্রেটার দিকে।
সুইডেন থেকে মাদ্রিদ। গ্রেটা থুনবার্গের গোটা যাত্রা জলপথে, একটি নৌকা সম্বল করে। মাদ্রিদের পরিবেশ সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয়, কার্বন নিঃসরণ কমানো। যে লক্ষ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করে চলেছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ। প্রথম বিশ্বের দেশগুলি এই কাজে তেমন সফল নয় বলেই অভিযোগ। আর কিশোরী পরিবেশপ্রেমীর গ্রেটার আন্দোলন ঠিক এর বিরুদ্ধেই। তাই তো মাদ্রিদের সম্মেলনে সে চলে এসেছেন প্রতিবাদ জানাতে।
[আরও পড়ুন: গেছো ব্যাঙের ‘গোত্র’ বাতলে ইতিহাসে পাঁচ বাঙালি গবেষক]
কিন্তু সেখানে যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে, কে-ই বা ভেবেছিল? সম্মেলন যেখানে চলছে, তার বাইরে স্লোগান তোলা গ্রেটাকে একেবারে ঘিরে ফেলে মানুষজন। ছবি তোলার হিড়িকও পড়ে যায়। ছুটে যায় সংবাদমাধ্যমগুলিও। ক্যামেরা, বুম নিয়ে গ্রেটার দিকে এগিয়ে যান সাংবাদিকরা। এতদিন তাকে ‘অ্যাংরি কিড’ বলে যাঁরা কটাক্ষ করত, তাঁরাই এবার সুইডিশ কিশোরীর সঙ্গে বাক্যালাপে উৎসাহী। এতে বেশ বিরক্ত হয়ে পড়ে গ্রেটা থুনবার্গ। শেষমেশ পুলিশ ভিড় ফাঁকা করে নিরাপদে তাকে নিয়ে যায়। কিন্তু এই ঘটনার জেরে কি কিছুটা বিঘ্ন ঘটল না পরিবেশ সম্মেলনে? কিছুটা নজর অন্যদিকে ঘুরে গেল না কি?
গ্রেটা কিন্তু বলছে অন্য কথা। ষোড়শীর কথায়, ‘আমি কোথাও মধ্যমণি হয়ে থাকতে একেবারেই পছন্দ করি না। কিন্তু এখানে সাংবাদিকরা আমাকে ঘিরে ধরায় একটা আশা দেখতে পাচ্ছি। ওনারা আমার সম্পর্কে দু, চার কথা লিখলে পরিবেশের কথাও লিখবেন। সেটাই আমি চাই।’ যদিও কিশোরী মেয়েকে ঘিরে এমন হইহট্টগোলে রেগে কাঁই তার বাবা। বলছেন, ‘গোটাটাই পাগলামি’।
[আরও পড়ুন: ম্যানগ্রোভ কেটে তৈরি হচ্ছে ভেড়ি, প্রতিবাদ করায় হুমকির মুখে গ্রামবাসীরা]
The post পরিবেশ সম্মেলনে হাজির গ্রেটা থুনবার্গকে ঘিরে জনতার ঢল, বিরক্ত কিশোরী appeared first on Sangbad Pratidin.