গুজরাট টাইটান্স : ১৬৮/৬ (সাই সুদর্শন-৪৫, শুভমন গিল-৩১)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৬২/৯ (রোহিত- ৪৩, ব্রেভিস- ৪৬)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাট টাইটান্স বনাম হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বইয়ের লড়াইয়ে জিতলেন নতুন অধিনায়ক শুভমন গিল। সাই সুদর্শনের (৪৫) পাশাপাশি নিজেও যেমন দলের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ রান করলেন (৩১), তেমনই ক্যাপ্টেন হিসেবে দুরন্ত পারফরম্যান্স তরুণ অধিনায়কের। রঙের উৎসবের আগের দিন আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে জয়ের আবির ওড়ালেন ‘পাঞ্জাব দা পুত্তর’। কাজে এল না মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (৪৩) এবং ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের (৪৬) লড়াই। শেষ ওভারের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ৬ রানে হেরে গেল মুম্বই।
গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নতুন ক্যাপ্টেন শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এদিন দর্শকে ঠাসা ছিল মোদি স্টেডিয়াম। এমনিতে আইপিএলের যে কোনও ম্যাচই আকর্ষণীয়। তার মধ্যে চলতি আইপিএলে গুজরাট এবং মুম্বইয়ের মধ্যে ক্যাপ্টন বদল নিয়ে একপ্রস্থ নাটক হয়েছে। গুজরাটের সফল অধিনায়ক মুম্বইয়ের দায়িত্বে। যার ফলে অধিনায়কত্ব থেকে সরেছেন রোহিত। অন্যদিকে হার্দিকের কারণেই গুজরাটের নতুন ক্যাপ্টেন গিল। যাকে বলে জমজামাট চিত্রনাট্য।
ক্যাপ্টেনের ‘লিডিং ফ্রম ফ্রন্ট’ স্টাইলেই মুম্বইয়ের হয়ে বোলিং ওপেন করেন হার্দিক। যদিও ব্যর্থ হন। ম্যাচে তিন ওভারে ৩০ রান দেন তিনি। পাননি একটিও উইকেট। মুম্বইয়ের পরিত্রাতা হন সেই জশপ্রীত বুমরা। একদিকে হার্দিক রান দিলেও, অপর প্রান্তে বুমরা আসতেই গুজরাটের রান তোলার গতি কমে। চার ওভারে ১৪ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। যোগ্য সঙ্গত করেন পীযূষ চাওলা। তিন ওভারে ৩১ রানে এক উইকেট নেন। যদিও ঋদ্ধি আর শুভমানের মোটের উপর ভালোই শুরু করেছিলেন। ১৫ বলে ১৯ রান করে আউট হন বাঙালি উইকেটকিপার। পরে গুজরাটের হয়ে হাল ধরেন সাই সুদর্শন। ৪৫ রান করেন তিনি। ক্যাপ্টেন গিল করেন জরুরি ৩১ রান। শেষের দিকে রাহুল তেওটিয়ার পনেরো বলে ২২ রানের যোগদানে কুড়ি ওভারে গুজরাট তোলে ১৬৮।
টি-টোয়েন্টির জমানায় ১২০ বলে ১৬৯ রানের টার্গেট ডিঙোতে পারল না মুম্বই। যদিও শুরুতে গোটা দুই উইকেট পড়ে যাওয়া ছাড়া মুম্বইয়ের দিকেই হেলে ছিল ম্যাচ। কারণ অধিনায়কত্ব হারানো রোহিতের দমদার ফর্ম। অবলীলায় রান করছিলেন তিনি। ভারত অধিনায়ককে সঙ্গে দেন ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেব নামা ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। যদিও ২৯ বলে ৪৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে সাই কিশোরের বলে এলবিডাব্লু হন রোহিত। অন্যদিকে ৪৬ রান করে ব্রেভিসও ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। এর ফলেই আচমকা কঠিন হয়ে ওঠে সংক্ষিপ্ত টার্গেট। কৃতিত্ব দিতে হবে গুজরাট অধিনায়ক এবং তাঁর শান দেওয়া অস্ত্র বোলারদের।
আজমাতুল্লা ওমরজাই, উমেশ যাদব, সাই কিশোর, স্পেনসার জনসন, মোহিত শর্মা-সকলেই উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন এদিন। একটিও উইকেট না পেলেও যথারীতি কাজের কাজ করেছেন রশিদ খান। সবচেয়ে ‘কিপটে’ বোলার তিনিই। চার ওভারে দিয়েছেন মোটে ২৩ রান। এর ফলেই শেষ দু’ওভারে মুম্বইকে তুলতে হত ২৭ রান। জনসন ১৯তম ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। এর পর হার্দিক একটা শেষ চেষ্টা চালালেও ২০তম ওভারে উমেশ যাদবের বলে ফিরে যান। পীযূষ চাওলাও পরের বলে আউট হয়ে যান। এর ফলেই ৬ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট। তাও আবার নিজের দলের প্রাক্তন অধিনায়কের বিরুদ্ধে।