সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে প্রথমবার ২১ জুলাইকে জাতীয় স্তরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল তৃণমূল। এরাজ্যের শাসকদলের সেই প্রচেষ্টা পদে পদে বাধা পেল বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। ত্রিপুরার পর একুশের ‘শহিদ দিবস’ পালন করতে গিয়ে ধাক্কা খেতে হল গুজরাটের তৃণমূল কর্মীদেরও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নিজের রাজ্যে সরিয়ে দেওয়া হল দিদির নামে লেখা বড়সড় ব্যানার। প্রত্যাশিতভাবেই এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলছে TMC।
বাংলার পাশাপাশি এ বছর দেশের অন্য বেশ কয়েকটি রাজ্যেও ‘শহিদ দিবস’ পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ুর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটেও এবছর শহিদ দিবসে তৃণমূল নেত্রীর ভাষণ শোনানোর ব্যবস্থা করেছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু মমতার ভাষণ শুরুর আগেই বাঁধে বিপত্তি। আহমেদাবাদে একুশের ভারচুয়াল সমাবেশের প্রচারের উদ্দেশে একটি বড়সড় ব্যানার লাগিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। যেখানে গুজরাটি ভাষায় শহিদ সমাবেশ সম্পর্কে লেখা ছিল। তৃণমূল নেত্রীর ছবিও ছিল ব্যানারটিতে। মমতার (Mamata Banerjee) ভাষণ শুরুর আগেই সেই ব্যানারটি কেউ সরিয়ে দেয়। এবং সেটিকে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ওই ব্যানার সরিয়েছে বিজেপিই।
[আরও পড়ুন: শহিদ দিবসে ত্রিপুরায় আটক TMC কর্মীরা, তীব্র নিন্দায় Abhishek]
গুজরাটের রাজনীতিতে তৃণমূল একেবারেই নবাগত। এখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে সেভাবে পোক্ত সংগঠন তৈরি করে উঠতে পারেনি এরাজ্যের শাসক শিবির। তবে ২৪-এর লক্ষ্যে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, তৃণমূলের উত্থানে ভীত বিজেপিই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতেও ‘শহিদ দিবস’ পালন করতে গিয়ে বাধা পেতে হয়েছে তৃণমূলকে। ৮২ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ত্রিপুরার পুলিশ। যার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisek Banerjee)।