সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদ-সহ (Ahmedabad) গুজরাটের (Gujarat) নানা অঞ্চলে আমিষ খাবারের স্টলগুলির বিরুদ্ধে সরকারি কড়া পদক্ষেপকে ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই এবার প্রশাসনকে ভর্ৎসনা করল হাই কোর্ট। আদালত জানাল, শুধুমাত্র কিছু মানুষের ইগোকে সন্তুষ্ট করতে এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত নয়। যদিও আহমেদাবাদ পুরসভার দাবি, কেবল মাত্র সরকারি জমি দখল করে রাখা খাবারের স্টলের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব জানান, ”কেউ দুঃস্বপ্ন দেখল আর পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি লোকদের সব কিছু বিক্রিতেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দিলেন! কিছু কিছু মানুষের ইগোকে সন্তুষ্ট করতে এই ধরনের কাজ করবেন না।”
[আরও পড়ুন: দলীয় সাংসদদের সঙ্গে নয়, আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লকেট চট্টোপাধ্যায়, তুঙ্গে জল্পনা]
গত মাসে প্রকাশ্যে আমিষ বিক্রি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আহমেদাবাদ পুরসভা। একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে বরোদা-সহ আরও নানা শহরের প্রশাসন। এরই প্রতিবাদে ২৫ জন হকার আদালতের দ্বারস্থ হন। সম্প্রতি তাঁদের গাড়ি কেড়ে নিয়েছিল পুরসভা। তবে ওই বিক্রেতারা জানিয়েছিলেন, কেববল ডিম বা আমিষ পদই নয়, তাঁরা নিরামিষও বিক্রি করতেন।
গুজরাটের বিজেপি সরকারকে কার্যত ইঙ্গিত করে বিচারপতি বলেন, ”ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল বলল, কেউ ডিম খেতে চায় না, আর অমনি আপনারা ওঁদের থামিয়ে দিলেন। বেছে বেছে তুলে ফেলে দিলেন?”
[আরও পড়ুন: CDS Bipin Rawat: দুর্ঘটনার আগে অনেকটা নিচ দিয়ে উড়ছিল জেনারেল রাওয়াতের কপ্টার, প্রত্যক্ষদর্শীর দাবিতে চাঞ্চল্য]
সরকারি তরফে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়, রাস্তা থেকে বেআইনি দোকানগুলি উৎখাত করতেই তারা ওই স্টলগুলি তুলে দিয়েছে। সরকারি তরফের ব্যাখ্যা শুনে অবশ্য বিচারপতি জমা পড়া পিটিশন খারিজ করে দেন। তিনি বলেন, ”আমি যদি আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়ে থাকি, তবে তা প্রত্যাহার করছি। দখলদারির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হলে তা স্বাগত। এটা আপনাদের ক্ষমতা। কিন্তু মনে রাখবেন, স্রেফ কেউ বলল বলে এটা করা হল তা যেন না হয়।” এরপর সরকারি আইনজীবী বলেন, এমনটা এক্ষেত্রে করা হয়নি। এরপরই বিচারপতি মামলাটি খারিজ করে দেন।