সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষবরণের রাতে ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড ঘটে লখনউয়ে। চার বোন ও মাকে হোটেলে খুন করার অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন এই খুন করল সে? ভিডিও করে নিজেই সেই কারণ জানিয়েছে অভিযুক্ত আরশাদ। জমি মাফিয়ারা তাদের বাড়ি দখল করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, বোনদের বিক্রি করে দেওয়ারও ছক ছিল! তাই পরিবারের সম্মান বাঁচাতেই এই চরম পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে সে।
দিন তিনেক আগে নতুন বছর উদযাপন করার জন্য ৯ বছরের আলিয়া, ১৯ বছরের আলিশা, ১৬ বছরের আকসা এবং ১৮ বছরের রেহমিন মা ও দাদার সঙ্গে আগ্রা থেকে লখনউয়ে এসেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাতে মা-বোনেদের সঙ্গে হোটেলে ছিল আরশাদ। সেখানেই সকলকে খাবার ও মদ খাওয়ায়। তবে পাঁচজনের দেহে আঘাতের চিহ্নও ছিল। তদন্তে নেমে একটি ভিডিও হাতে আসে পুলিশের। যা হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর রেকর্ড করেছিল আরশাদ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ভিডিওতে অভিযুক্ত জানিয়েছে, "প্রতিবেশিরা আমাদের ক্রমাগত হেনস্তা করছিল। জমি মাফিয়ারা আমাদের বাড়ি দখল করে নিয়েছে। আমরা অনেক প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু আমাদের আওয়াজ কেউ শোনেনি। আজ পনেরো দিন হয়ে গিয়েছে আমরা ফুটপাতে ঘুমাচ্ছি, ঠান্ডায় রাস্তায় রাত কাটাচ্ছি। আমাদের কাছে বাড়ির সমস্ত কাগজ রয়েছে। ওরা আমার বোনদের বিক্রি করে দিত। তাই এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছি। মা-বোনের খুন করেছি। বাবাও আমার সঙ্গে ছিল।'
এই ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে বিচার চেয়ে আরশাদ বলে, "আমরা অনেক লোকের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের সাহায্য করেনি। এখন আমার বোনেরা মারা গিয়েছে। আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যাব। ভারতের কোনও পরিবারকে এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করা উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যোগী আদিত্যনাথের কাছে বিচারের জন্য অনুরোধ করছি। আমরা বেঁচে থাকতে ন্যায়বিচার পাইনি, অন্তত মৃত্যুর পর আমাদের বিচার করুন। ওদের কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিত। বিভিন্ন নেতা ও পুলিশও ওদের সঙ্গে যুক্ত।" যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। এখনও আরশাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।