সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের ফল প্রকাশের পর তিনদিনও কাটেনি। এরই মধ্যে গুজরাটে বড়সড় ধাক্কার মুখে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (Aam Aadmy Party)। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, গুজরাটে আপের টিকিটে নির্বাচিত পাঁচ বিধায়কই ঝুঁকে বিজেপির দিকে। খুব শীঘ্রই শিবির বদল করতে পারেন তাঁরা। যদিও সরকারিভাবে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন আপের এক বিধায়ক। তবে তিনিও গুজরাট সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এই প্রথমবার গুজরাটে এত প্রবলভাবে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়েছিল AAP। অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) দাবি করেছিলেন, বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ৯০টি আসন জিতবে তাঁর দল। কংগ্রেসকে সরিয়ে গুজরাটে আপই বিজেপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বলেও দাবি করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কেজরির দাবির ধারেকাছে যেতে পারেনি তাঁর দল। গুজরাটে বিজেপি (BJP) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। আর কেজরিওয়ালের দল জিতেছে মাত্র পাঁচটি আসনে। ভোট পেয়েছে মাত্র ১৩ শতাংশ। কংগ্রেসের অবস্থাও শোচনীয়। তাঁরা জিতেছে মাত্র ১৭টি আসনে।
[আরও পড়ুন: ‘কোনও তৃতীয় ফ্রন্ট নয়, বিজেপিকে হারাতে চাই একটাই ফ্রন্ট’, বলছেন নীতীশ কুমার]
যদিও ভোটের ফল খারাপ হলেও হতাশ না হয়ে উচ্ছ্বাসই প্রকাশ করেছিলেন কেজরি। তাঁর বক্তব্য ছিল, গুজরাটে প্রথমবার লড়াই করতে এসেই তাঁর দল বিজেপির দুর্গে আঘাত হেনেছে। পরেরবার সেই দুর্গ আপ দখল করে নেবে। তাছাড়া গুজরাটের এই ফলাফল আম আদমি পার্টিকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি দিয়েছে বলেও ঘোষণা করে দেন তিনি। কিন্তু এবার কেজরির সেই দাবিও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।
একাধিক স্থানীয় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, আপের ৫ জন বিধায়কই বিজেপির দিকে ঝুঁকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে যে পাঁচজন গুজরাটে আপের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৩ জন আগে বিজেপিতেই ছিলেন। টিকিট না পেয়ে আম আদমি পার্টিতে যোগ দেন। শোনা যাচ্ছে, এবার তাঁরা সকলেই বিজেপিতে প্রত্যাবর্তন করতে চান। যদি নিতান্ত সরাসরি বিজেপিতে যোগ নাও দেওয়া হয়, তাঁরা বাইরে থেকে বিজেপি সরকারকে সমর্থন করবেন। সেকথা একপ্রকার স্বীকারও করে নিয়েছেন আপের বিসাভাদার কেন্দ্রের বিধায়ক ভূপৎ ভায়ানি। তিনি যদিও বিজেপিতে যোগদানের খবর অস্বীকার করেছেন।
[আরও পড়ুন: ‘কোনও তৃতীয় ফ্রন্ট নয়, বিজেপিকে হারাতে চাই একটাই ফ্রন্ট’, বলছেন নীতীশ কুমার]
ভূপৎ ভায়ানি বলছেন, ‘আমি এখনই দল ছাড়ছি না। তবে আমার এলাকার মানুষের সঙ্গে এ নিয়ে মতামত নিতে হবে। গুজরাটের মানুষ বিজেপিকে বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে ক্ষমতায় ফিরিয়েছে। মানুষের রায় আমাদের মাথা পেতে নিতেই হবে।’ আপ বিধায়ক স্পষ্টই বলে দিচ্ছেন, মানুষের কাজ করতে হলে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেই হবে। বিরোধীরা এতটাই দুর্বল যে, বিরোধী বেঞ্চে বসে মানুষের সমস্যার সমাধান করাটা সম্ভব হবে না।