সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিসের ধর্ষকদের নিয়ে নাটক অব্যাহত। ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে ১১ জন দোষীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। মাসখানেক আগে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ের পর জেলে ফেরানো হয়েছিল ধর্ষকদের। এবার তাঁদের একজনকে প্যারলে মুক্তি দিল গুজরাট হাই কোর্ট (Gujarat High Court)। ভাগ্নের বিয়েতে যোগ দেবেন বলে আবেদন করেছিলেন বিলকিস মামলার অন্যতম দোষী রমেশ চন্দনা। আগামী ৫ মার্চ থেকে ১০ দিনের জন্য প্যরোল মঞ্জুর করেছে আদালত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে যাঁদের জেলে ফেরানো হল, তাঁদেরই একজনের প্যারোল মঞ্জুর করা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এর আগে আরও এক অপরাধীকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
রমেশের আগে মুক্তি পান আরেক ধর্ষক প্রদীপ মোধিয়ার। গত ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন প্রদীপ। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে বোনের ছেলের বিয়েতে যোগ দিতে চেয়ে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেছিলেন রমেশ চন্দনা। সেই আবেদনই গুজরাট হাই কোর্টের বিচারপতি দিব্যেশ জোশী মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে কারাবাস শুরুর পর থেকে মোট ১১৯৮ দিন প্যারোলে মুক্ত ছিলেন রমেশ। বিলকিসের ১১ ধর্ষকের বাকিরাও কম-বেশি প্যারোলো মুক্তি হয়েছেন। একাধিকবার। যা নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে সভা পিছিয়ে দিল তৃণমূল, স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে দুই মন্ত্রী]
বিলকিস এবং তাঁর আত্মীয়দের অভিযোগ ছিল, প্যারোলে মুক্ত হয়ে দোষীরা তাঁদের উপর চাপ তৈরি করত। এছাড়াও হামলা হতে পারে ভেবেও আতঙ্কিত ছিলেন তাঁরা। এর মধ্যেই ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ১১ জন ধর্ষককে। জেলে তাঁরা ‘ভালো আচরণ’ করেছেন, জানানো হয় জেল কর্তৃপক্ষের তরফে। জেলমুক্ত দোষীদের গেরুয়া শিবিরের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। যদিও লড়াই ছাড়েননি বিলকিস। তিনি গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। বেশ কিছুদিনের শুনানির পর দোষীদের জেলে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।