সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলা হয় পৃথিবীর কোনও না কোনও প্রান্তে একেবারে একই রকম দেখতে দু’জন মানুষ থাকেন। তাঁদের মধ্যে যে কোনও রক্তের যোগাযোগ থাকে, তেমনটা নয়। সেই কারণেই গুজরাটের (Gujarat) আনন্দ শহরে পথচলতি অনেকেই 'ফুচকাওয়াল মোদি'কে দেখে চমকে যান। কাছে এসে কথা বলে, টকঝাল ফুচকা খেয়ে ঘোর কেটেও যেন কাটে না! বিশেষত লোকসভা ভোটের মধ্যে জনসংযোগেই বুঝি পথে নেমে দেশবাসীকে ফুচকা খাওয়াচ্ছেন মোদি, এমনটা ভেবে ফেলেন কেউ কেউ। কিন্তু আসল ব্যাপারটা কী?
আসলে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি নন, তাঁর মতো দেখতে ‘পানিপুরি’ বা ফুচকা বিক্রেতা হলেন অনিল ভাই খট্টর। শুধু কী দেখতে! চুল-দাড়ির ছাট, গলার স্বর, বাচন ভঙ্গিমাতেও চমকে দেওয়া মিল। ব্যাপারটা বুঝেই সাদা রঙের পাজামা পাঞ্জাবির উপরে বিভিন্ন রঙের 'মোদি জ্যাকেট' পরেন খট্টর। স্থানীয়রা তাঁকে মোদি নামেই চেনেন। মোদির সঙ্গে এক বিষয়ে খট্টরের বাস্তবেই মিল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মতো তিনিও গুজরাটের বাসিন্দা। আনন্দ শহরে বল্লভ বিদ্যানগর এলাকার মোটাবাজারে ভূদেবী কমপ্লেক্সে তাঁর দোকান তুলসি পানপুরি সেন্টার। চাহিদা মতো ক্রেতাদের হাতে চাট, ভেলপুরি, দই ফুচকা বা পানিপুরি তুলে দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: একজনও মুসলিম প্রার্থী নেই! মহারাষ্ট্র কংগ্রেসে ‘সংখ্যালঘু বিদ্রোহ’, ‘মজা’ দেখছে বিজেপি]
১৫ বছর বয়স থেকে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত খট্টর প্রত্যেকবার ভোটের সময় ভাইরাল হন। ২০২৪ লোকসভা ভোটেও তার ব্যক্তিক্রম হয়নি। ভাইরাল হয়েছে তাঁর নতুন ভিডিও। অযাচিত এই খ্যাতি উপভোগ করেন ৭১ বছরের মানুষটি। খট্টর বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার সাদৃশ্য থাকার কারণে আমি স্থানীয় এবং পর্যটক উভয়ের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা এবং সম্মান পাই।'
[আরও পড়ুন: NDA বনাম INDIA লড়াইয়ে ‘কালো ঘোড়া’ এক নির্দল, বিহারের এই কেন্দ্রের লড়াইয়ে নজর গোটা দেশের]
চলতি বছরের শুরুতে গরবা উৎসবের একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। যেটিকে ডিফেক বলে মনে করা হয়েছিল। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোদি গরবা নাচ করছেন। পরে বোঝা যায় যে মোদি নন, ডিফেকও নয়, মুম্বইয়ের বাসিন্দা মোদির আর এক হামসকল বিকাশ মহান্তের ভিডিও ছিল সেটি। যদিও চেহারায় মিলের কারণে ঘোল খেয়েছিল আমজনতা।