পাঞ্জাব কিংস: ১৪২/১০ (প্রভসিমরন-৩৫, কিশোর- ৩৩/৪)
গুজরাট টাইটান্স: ১৪৬/৭ (গিল-৩৫, তেওটিয়া-৩৬*, হর্ষল-১৫/৩)
৩ উইকেটে জয়ী গুজরাট টাইটান্স
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঘের ডেরায় ঢুকে বাঘ শিকার করেছিল পাঞ্জাব। আহমেদাবাদের ২২ গজেই গিলের গুজরাটকে ধরাশায়ী করেন স্যাম কুরানরা। এবার পাঞ্জাবে পা রেখে সেই হারেরই মধুর প্রতিশোধ নিল গতবারের রানার্স আপরা। যদিও লক্ষ্যমাত্রা বেশি না হলেও পাঞ্জাব বোলারদের পরিশ্রমের জন্য জয় ছিনিয়ে নিতে বেশ বেগ পেতে হল গিলদের। তবে স্বস্তি একটাই। গত ম্যাচে দিল্লির কাছে বিশ্রী হারের পর ফের জয়ের সরণিতে দল।
রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় চণ্ডীগড় স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন কুরান। তবে গুজরাট বোলারদের দাপটে সেভাবে কেউই ক্রিজে টিকতে পারেননি। প্রভসিমরনের ৩৫ রান বাদ দিলে বাকিরা তিরিশের গণ্ডি পেরতেও ব্যর্থ হন। প্রীতি জিন্টার পাঞ্জাবের মিডল অর্ডারে ধস নামান সাই কিশোর। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে একাই চারটি উইকেট তুলে নেন তিনি। সেই সৌজন্যে ১৪২ রানেই গুটিয়ে যায় হোম ফেভারিটদের ইনিংস।
[আরও পড়ুন: আউট হয়েই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক কোহলির, একরাশ ক্ষোভ নিয়ে ইডেন ছাড়লেন ডু প্লেসিসরা]
চলতি আইপিএলে রানের রেকর্ড তৈরি হয়েছে। স্কোরবোর্ডে উজ্জ্বল হয়েছে ২৮৭ রানের মতো পাহাড় প্রমাণ লক্ষ্যমাত্রাও। সেখানে কোনও দল দেড়শোর গণ্ডিও পেরতে না পারলে ব্যাট হাতে নামার আগেই প্রতিপক্ষ যেন খানিকটা অ্যাডভান্টেজে থাকে। কিন্তু এই ম্যাচে গুজরাটকে প্রথম থেকেই চাপে ফেলে দিয়েছিলেন পাঞ্জাব পেসার এবং স্পিনাররা। ঋদ্ধিমান সাহা ১৩ রানে ফিরলে হাল ধরেন অধিনায়ক গিল (৩৫) ও সাই সুদর্শন (৩১)। তবে তাঁরা আউট হতেই যেন ম্যাচ ফের পাঞ্জাবের দিকে ঘুরে যেতে শুরু করে। তবে মোক্ষম সময় জ্বলে ওঠেন গুজরাটের অন্যতম বিশ্বস্ত সৈনিক রাহুল তেওটিয়া। ৭টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৮ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
পর পর চার ম্যাচে হেরে প্লে অফে পৌঁছনোর পথ আরও কঠিন করল পাঞ্জাব। তবে উলটোদিকে দিল্লির কাছে লজ্জার হার ভুলে এই জয় যে গিলদের হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিল, তা বলে দেওয়াই যায়।