সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০ হাজার টাকার জন্য প্রতিবেশীর বাড়িতে চুরি! আর তা দেখে ফেলায় সেই বাড়িরই নবছরের এক নাবালিকাকে খুন করার অভিযোগ উঠল বছর ষোলোর কিশোরের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় খুন করার পর মেয়েটির দেহ পুড়িয়ে ফেলারও চেষ্টা করেছিল সে। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার গুরুগ্রামে। মৃত নাবালিকা ও অভিযুক্ত কিশোর দুজনে একে অপরের প্রতিবেশী। একটি আবাসনের ভিন্ন দুটি টাওয়ারে তারা থাকতো। তাদের পরিবারের মধ্যেও বেশ ভালো পরিচিতি ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে চতুর্থ শ্রেণির ওই পড়ুয়ার বাবা কাজে গিয়েছিলেন। মা ও দাদা গিয়েছিলেন অভিযুক্তেরই বাড়িতে। তাদেরকে নিজের বাড়িতে দেখেই চুরির ছক কষে ফেলেছিল কিশোরটি। পড়তে যাওয়ার নাম করে পৌঁছে গিয়েছিল নাবালিকার বাড়িতে। সেখানে জল চেয়ে ও হোমওয়ার্কে সাহায্য করার নাম করে মেয়েটির সঙ্গে ভাব জমিয়েছিল অভিযুক্ত। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি চোখের আড়াল হতেই একটি ঘরে ঢুকে আলমারির চাবি খুঁজে নেয় সে। তার পর সেটি খুলে বেশ কিছু গয়না নিয়ে নেয়। কিন্তু ততক্ষণে তার কাণ্ড দেখে ফেলেছিল বছর নয়ের মেয়েটি।
[আরও পড়ুন: ‘এক আকেলা সব পর ভারি পড়া’, মোদিকে বিঁধে লোকসভায় ঝাঁজালো কামব্যাক মহুয়ার]
প্রথমে অন্য দুই চোরের গল্প ফাঁদলেও পুলিশের জেরার মুখে সব কিছু স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত কিশোর। পুলিশের কাছে সে জানায়, প্রথমে নাবালিকাটিকে মারতে চায়নি সে। গোটা ঘটনা কাউকে না বলার কথা বলেছিল। কিন্তু চুপ থাকতে রাজি হয়নি মেয়েটি। মা ফিরলে সব কিছু জানিয়ে দেব বললে আর কিছু মাথায় আসেনি অভিযুক্তের। সব কিছু চাপা দিতে নাবালিকাটিকে প্রথমে গলা টিপে খুন করে সে। তার পর ঠাকুরঘর থেকে কর্পূর এনে মেয়েটির গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এই বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছুক্ষণ পর নাবালিকাটির মা ফিরে আসেন। কিন্তু অনেকবার বেল বাজালেও কারও সাড়া পাননি তিনি। তার পরই কিছু পোড়ার ধোঁয়া দেখে আশপাশের লোক জোড়ো করেন তিনি। সকলে মিলে দরজা খুলে ঘরে ধুকলে অর্ধদগ্ধ ও মৃত অবস্থায় মেয়েটিকে দেখতে পান। তার পাশেই বসেছিল অভিযুক্ত কিশোর। এর পরই খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে অভিযুক্তকে। জেরায় সে জানায়, ২০ হাজার টাকার ঋণ পরিশোধ করতে হয়, তাই চুরি করার পরিকল্পনা করেছিল। এই ঘটনায় ওই কিশোরের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তের জন্য তার কিছু বন্ধুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।