সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে সাইবার হামলা! বন্ধ রাখা হয়েছে এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) পরিষেবা। এছাড়া, দেশের গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যের সুরক্ষায় তৎপর হয়েছে প্রশাসন।
গতকাল, মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে সাইবার হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে একটি হ্যাকার গ্রুপ। টেলিগ্রাম-সহ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া গ্রুপে এই দাবি করা হয়। গ্রুপটি বলছে, ইতিমধ্যে দুটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং নৌবাহিনীর ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালানো হয়েছে। এই গোষ্ঠীটিই এর আগে গত ৩০ জুলাই হুমকি দিয়েছিল ১৫ আগস্ট সাইবার হামলার ঝড় বইয়ে দেওয়ার। সেই হুমকির পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিরোধের নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছিল। তবে সরকারি-বেসরকারি অনেক ওয়েবসাইট ও নেটওয়ার্কে হামলা হয়েছে এবং তথ্য চুরি ঠেকানো যায়নি৷
[আরও পড়ুন: ভোটমুখী বাংলাদেশে চড়ছে পারদ, হাসিনা সরকার পতনের লক্ষ্যে কর্মসূচি বিএনপির]
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি ও বেসকারি প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা বেড়েই চলছে। ১৫ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৩৬টি ওয়েবসাইট ও নেটওয়ার্কে হামলা চালিয়েছে হ্যাকার গ্রুপ। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলায় এনআইডি সংক্রান্ত সব সেবা ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টো পর্যন্ত বন্ধ ছিল। সার্ভারের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। এই বিষয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রক। সরকারি ও বেসরকারি গূরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে হওয়া হামলাগুলো ডি-ডস আক্রমণ। এ প্রক্রিয়ায় ট্রাফিক বাড়িয়ে দিয়ে ওয়েবসাইটগুলো অচল করে রাখা হয়।
কী করতে হবে সাইবার হামলা রুখতে? উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার হামলার মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি নেটওয়ার্ক ও ওয়েবসাইটের সুরক্ষায় আরও সচেতন হতে হবে। মঙ্গলবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই পরামর্শ দেওয়া হয়। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর অন্তর্ভুক্ত (সিআইআই) ৩৪টি প্রতিষ্ঠান-সহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আর্থিক সংস্থা, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (সার্ট) প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।