সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাফিজ সইদ সন্ত্রাসবাদী। নিরীহদের রক্তে রাঙানো তার হাত। মুম্বই হামলার নেপথ্যে রয়েছে ওই জঙ্গি। অনেক হয়েছে, এবার ব্যবস্থা নিন। বেনজিরভাবে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় বার্তা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ক্রমাগত বরফ জমছে ইসলামাবাদ-ওয়াশিংটনের সম্পর্কে। পরিস্থিতির ফেরে এক অপরের হাত না ছাড়লেও, কেউই কাউকে সহ্য করতে পারছে না। ফলে দু’তরফেই অভিযোগ পালটা অভিযোগের মাধ্যমে উষ্মার প্রকাশ সামনে আসছে। পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছেন মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র হিথার নাউয়ের্ট। তিনি বলেন, “২৬/১১ হামলায় বেশ মার্কিন নাগরিক-সহ নিরীহদের হত্যায় মূলচক্রী হাফিজ সইদ। তার সাজা হওয়া উচিত। পাকিস্তান ওই জঙ্গির বিরুদ্ধে এবার হেস্তনেস্ত কিছু করুক। এমনটাই চাইছে আমেরিকা। এবিষয়ে ইসলামাবাদকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানের দ্বিচারিতা আর সহ্য করা হবে না তা একপ্রকার সাফ করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার জামাত-উদ-দাওয়া প্রধানের সমর্থনে নির্লজ্জভাবে সওয়াল করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ আব্বাসি। মুম্বই হামলার মূল চক্রীকে ক্লিনচিট দেন তিনি। আব্বাসি দাবি করেন, সইদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই দায়ের হয়নি। ফলে তাকে সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তারপরই কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ওয়াশিংটন। যাই হোক না কেন, এই টানাপোড়েনের জেরে বেশ কিছুটা বিপাকে পড়েছে হাফিজ সইদ তা স্পষ্ট। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কাশ্মীর উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসে আর্থিক মদত সংক্রান্ত মামলায় ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসের মূল চক্রী সইদ, হিজবুল মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে অর্থ পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সইদের বিরুদ্ধে। তারই তদন্ত চালাতে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছে এনআইএ। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন আমেরিকা যেভাবে পাকিস্তানকে ঘিরতে চলেছে তাতে সইদের মাথাব্যথা বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট।
[ট্রাম্পের চোখারাঙানির জের, হাফিজের জঙ্গি সংগঠন ফের নিষিদ্ধ পাকিস্তানে]