সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাইতির (Haiti) প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসের খুনের নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। রবিবার এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করার পর এমনটাই জানিয়েছে ক্যারিবিয়ান দেশটির পুলিশ।
[আরও পড়ুন: দ্রুত এগিয়ে আসছে তালিবান, কাবুল বিমানবন্দরের সুরক্ষায় মোতায়েন মিসাইল সিস্টেম]
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, রবিবার ক্রিশ্চিয়ান ইমানুয়েল (৬৩) নামে হাইতির এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হাইতির পুলিশপ্রধান লিওন চার্লস জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ করতেই ব্যক্তিগত বিমানে গত জুন মাসে দেশে প্রবেশ করেন ওই ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে কলম্বিয়ার বেশ কয়েকজন নাগরিক ছিলেন। শুরুতে প্রেসিডেন্ট মোইসেকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা ছিল। এবং এই ষড়যন্ত্র রচিত হয়েছিল দেশের মাটিতেই। তারপর পরিকল্পনা পালটে ফেলা হয়। স্থির করা হয় যে মোইসেকে হত্যা করা হবে। প্রায় চব্বিশ জন ঘাতকের একটি দল হাইতিতে প্রবেশ করে। এদের ফ্লোরিডা স্থিত ‘CTU’ নামের ভেনেজুয়েলার একটি নিরাপত্তা পরিষেবা প্রধানকারী সংস্থা থেকে নেওয়া হয়। গত বুধবার থেকে এপর্যন্ত কলম্বিয়ার ১৮ জন নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্যারিবিয়ান দেশটির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে নিজের বাসভবনেই খুন হন প্রেসিডেন্ট মোইসে (Jovenel Moise) বলে গত বুধবার জানিয়েছিলেন দেশটির অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্লড জোসেফ। একদল অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র ব্যক্তি প্রেসিডেন্টের বাসভবনে আকস্মিকভাবে ঢুকে পড়ে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় আহত হন ফার্স্ট লেডি মার্টিন মোইসে। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। কারা এই হামলা চালাল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেনই বা হামলা চালাল তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। প্রধানমন্ত্রী জোসেফ এই হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, “এটা একটা অমানবিক এবং বর্বরোচিত কাজ।” হাইতির ন্যাশনাল পুলিশ এবং তদন্তকারী সংস্থা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। প্রেসিডেন্টের খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। হামলকারীদের গ্রেপ্তার করার দাবিতে নানা দেশের নানা প্রান্ত থেকে আওয়াজ উঠেছে।