সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগে থেকেই বিকল ছিল মোরবির (Morbi) ঝুলন্ত সেতুর অর্ধেক তার! চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল গুজরাট সরকারের তদন্তের রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, মেরামতির নামে কেবল নতুন করে রঙের পোঁচ দেওয়া হয়েছিল সেতুর একাধিক অংশে। যথাযথ ভাবে সারাই করেনি দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। প্রসঙ্গত, গত বছর মোরবি সেতু (Morbi Bridge Collapse) ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় ১৪১ জনের।
ঘটনার পরেই প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তদন্তকারী দলের রিপোর্টেও সেই কথাই প্রমাণিত হল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিপর্যয়ের আগে থেকেই সেতুর অন্তত ২২টি তার বিকল ছিল। সব মিলিয়ে ৪৯টি তার রয়েছে ওই সেতুতে। প্রবল ভিড়ের চাপে দুর্ঘটনার দিন বাকি ২৭টি তার ছিঁড়ে যায় বলেই জানিয়েছে তদন্তের রিপোর্ট।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতের ভাল হোক’, ‘অপারেশন দোস্ত’-এর জন্য ভারতকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ তুরস্কবাসীর]
ওরেভা নামে এক সংস্থাকে এই সেতু মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। গুজরাটের (Gujarat) বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই তড়িঘড়ি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় মোরবি সেতু। তদন্তকারীদের মতে, দ্রুত কাজ শেষ করার চাপে আসলে মেরামতিই করা হয়নি। শুধুমাত্র সেতুর ভার রক্ষাকারী সাসপেন্ডারগুলি পালটে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ওরেভার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে মোরবির স্থানীয় প্রশাসন। তাদের দাবি, অনুমতি ছাড়াই সাধারণ মানুষের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়েছিল।
যদিও গুজরাট হাই কোর্ট প্রশ্ন তুলেছিল, টেন্ডার না ডেকেই কী করে ওরেভাকে সেতু মেরামতের দায়িত্ব দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। সরকারের তরফে সাসপেন্ড করা হয় মোরবি পুরসভার প্রধানকে। চলতি মাসের শুরুতেই বিজেপি শাসিত মোরবি পুরসভা জানিয়ে দেয়, ওরেভা গ্রুপকে কিভাবে সেতু মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। তারপরেই প্রকাশ্যে এসেছে সিটের রিপোর্ট। সব মিলিয়ে, ১৪১ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী কে, সেই উত্তর অধরাই।