সুব্রত বিশ্বাস: লিলুয়া (Liluah) ওয়ার্কশপে কোচের ভিতর থেকে উদ্ধার এক রেলকর্মীর মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, মেরামতির জন্য রাখা একটি কোচের ভিতর ওই কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহটিতে পচন ধরেছে। তাই তাঁদের অনুমান যে দিন কয়েক আগেই ওই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে আত্মহত্যা নাকি তাঁকে খুন করে এখানে দেহটি এনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে রহস্য রয়েছে। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর (Unnatural death) মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া ওই রেলকর্মীর নাম রমাশংকর সিং, বয়স ৫৫ বছর। মেকানিক্যাল বিভাগের ওয়েল্ডার রমাশংকর সপরিবারে থাকতেন লিলুয়া রেল আবাসনে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরছে, দিন কয়েক ধরে তিনি কাজে অনুপস্থিত ছিলেন। তারপরই কোচের ভিতর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আত্মহত্যা না খুন – এ নিয়ে তাঁর সহকর্মীদের মধ্যেও জোর গুঞ্জন চলছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনও অভিযোগ পুলিশে জানায়নি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যার দিকে নজর দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: বিলাসবহুল জীবনে বাধা নাকি মানসিক অসুস্থতা? কেন বাবাকে ‘খুন’ করল যাদবপুরের যুবক?]
তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পারে, লকডাউনের (Lockdown) জেরে দীর্ঘদিন কাজ না করায় বাজারে বেশ কিছু ঋণ হয়েছিল রমাশংকর সিংয়ের। তা শোধ করা নিয়ে বেশ চাপের মধ্যে ছিলেন তিনি। মানসিক চাপের জেরে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে অনুমান। আবার কারও সন্দেহ, পাওনাদারদের কেউ খুন করে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেহ কোচের ভিতর ওভাবে রেখে দিয়েছে। রমাশংকরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর আবাসন বাসিন্দাদের মধ্যে বেশ চাঞ্চল্য দেখা দেয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তিনি আত্মহত্যাই করেছেন। সেভাবেই তদন্ত এগোচ্ছেন তাঁরা।