সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব ঠিক থাকলে দ্বিতীয়বার হরিয়ানার মসনদে বসতে চলেছেন নায়াব সিং সাইনিই। সম্প্রতি একাধিক রাজ্যে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করলেও হরিয়ানার ক্ষেত্রে তেমন কিছু হবে না বলেই বিজেপি সূত্রের খবর। আর সেটা হওয়ার বিশেষ কারণও নেই। কারণ, নায়াব সিং সাইনি মুষড়ে পড়া বিজেপিকে কার্যত একার হাতে তুলে এনেছেন জয়ের সরণিতে।
বিজেপি নায়াব সিং সাইনিকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল মাস ছয়েক আগে। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে আগে। তখন হরিয়ানাজুড়ে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া। সাড়ে ন'বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মনোহরলাল খাট্টার। তাঁর আমলের 'অপশাসনে'র জেরে হরিয়ানার জাঠ বেল্টে বেশ চাপে ছিল বিজেপি। 'পেহেলবান, জওয়ান এবং কিষান' হরিয়ানার যে তিন মূল স্তম্ভ। তিন স্তম্ভই তখন ক্ষুব্ধ। সেই কঠিন সময়ে হরিয়ানার কুরসিতে বসেছিলেন।
নায়াবের প্রথম কাজ ছিল লোকসভায় হরিয়ানায় বিজেপি ক্ষয়রোধ। সেই কাজটি তিনি পুরোপুরি করতে পারেননি। লোকসভায় ৫ আসনে জিতে যায় কংগ্রেস। আশঙ্কা ছিল, এভাবে চলতে থাকলে বিধানসভায় ভরাডুবি হতে পারে বিজেপির। কিন্তু নায়াবের নেতৃত্ব সেই ভরাডুবি আটকে বাজিমাত করল গেরুয়া শিবির। সংবাদমাধ্যম, জনমানস, এমনকী সমস্ত সমীক্ষাতেই যখন বিজেপিকে পিছিয়ে রাখা হচ্ছিল, তখন নীরবে কাজ করে গিয়েছেন সাইনি। নীরবে জাঠ বিরোধী ভোটকে এক ছাতার তলায় এনেছেন তিনি। রাজনৈতিক সমালোচকরা বলেন, দলিত ভোটের বিভাজনের জন্য নায়াবের পরামর্শেই উত্তরপ্রদেশ থেকে বিএসপি এবং আজাদ সমাজ পার্টির মতো দলিত পার্টিকে হরিয়ানায় জায়গা করে দেয় গেরুয়া শিবির। এমনকী ভোট বিভাজনের জন্য অনেক জায়গায় ড্যামি প্রার্থী খাঁড়া করাটাও ছিল বিজেপির কৌশল। সব মিলিয়ে সফল বিজেপি।
বস্তুত, বিজেপি সম্প্রতি একাধিক রাজ্যে ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাউকে সামনে রেখে নির্বাচনে যায়নি। কিন্তু হরিয়ানায় কার্যত ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল ক্ষমতায় ফিরলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন সাইনিই। বস্তুত প্রবল জাঠ আগ্রাসনের সামনে ওবিসি মুখে ভরসা রেখেছিল গেরুয়া শিবির। সেটাই কাজে দিল। বিজেপি সূত্রের খবর, এই সাফল্যের কৃতিত্ব হিসাবে নায়াককেই ফের হরিয়ানার মসনদে বসানো হবে।