সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাস্তার খানা-খন্দের অভিযোগে প্রায়শই জেরবার হতে হয় প্রশাসনকে। পথঘাটের গর্তের জেরে আখছার ঘটে দুর্ঘটনা। জমে বৃষ্টির জল। এমনকী মানুষের প্রাণহানিও ঘটে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ছবিটা এক্ষেত্রে একইরকম। কিন্তু রাস্তার গর্তই যে কারও জীবনে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াতে পারে, কে জানত! হ্যাঁ, তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী রইল হরিয়ানা। ‘মৃতদেহে’ প্রাণের সঞ্চার ঘটাল রাস্তার ভয়ংকর গর্তই!
বিষয়টা তাহলে বিস্তারিত বলা যাক। ৮০ বছরের দর্শন সিং ব্রারকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেছিল হাসপাতাল। শোকের ছায়া নামে পরিবারে। সেই দুঃখের আবহেই ওই পরিবারের বয়জ্যেষ্ঠকে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। কাঠ জোগাড় করা থেকে আত্মীয়-স্বজনকে খবর দেওয়া। সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা। সবকিছুই শুরু হয়ে যায় তড়িঘড়ি। কিন্তু হঠাৎই ঘটে মিরাকল। সৌজন্যে রাস্তার খানা-খন্দ। অ্যাম্বুল্যান্সে বাড়ির পথে বৃদ্ধার ‘মৃতদেহ’ আনার পথে রাস্তার গর্তে পড়ে চাকা। আর তাতেই জেগে ওঠেন বৃদ্ধ!
[আরও পড়ুন: ‘রামমন্দির বিধির লিখন, আমি সারথী মাত্র’, বলছেন আগে ডাক না পাওয়া আডবাণী]
পাতিয়ালা থেকে কার্নালের পথে যাচ্ছিল অ্যাম্বুল্যান্সটি। দাদুর সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন নাতি বালওয়ান সিং। তিনি হঠাৎই দেখতে পান, রাস্তার গর্তে অ্যাম্বুল্যান্সের চাকা পড়তেই দাদুর হাত নড়তে শুরু করে। এরপরই শোনা যায় হৃদস্পন্দন। সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধকে নিকটতম হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন নাতি। সেখানে পরীক্ষানিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, দর্শন সিং ব্রার বেঁচে আছেন। বর্তমানে কার্নালের হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন তিনি। তবে আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক বলেই খবর। পরিবার তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে। তবে যেভাবে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন ওই ‘মৃত’ বৃদ্ধ, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। অনেকেই মজা করে প্রশ্ন তুলছেন, তবে কি গর্ত ভালো?