সুকুমার সরকার, ঢাকা: কিছুতেই থামছে না রাশিয়া (Russia) ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। যুযুধান দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি ফেরাতে ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মঞ্চ। এহেন সময়ে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে ইউক্রেন ইস্যুতে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।
[আরও পড়ুন: ৭ বছর পর মিলল সুবিচার, বাংলাদেশের ব্লগার অনন্ত দাস হত্যায় চারজনের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ]
বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে হাসিনা স্পষ্ট বলেন, “যুদ্ধ একপক্ষের কারণে হয় না। কেউ না কেউ উসকানি দিচ্ছে। যুদ্ধটা কারা বাধিয়েছে, সেটাও দেখতে হবে।” রাশিয়াকে বন্ধুপ্রতিম দেশ উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধে দেশটির ভূমিকা তুলে ধরে হাসিনা বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন পাকিস্তানের পক্ষে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, তখন রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল।” সরকারি দলের সাংসদেরা টেবিল চাপড়ে এ বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান।
বলে রাখা ভাল, ইউক্রেনে ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব এবেছিল আমেরিকা। সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ। তবে ইউক্রেনে মানবাধিকার সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে সায় দেয় ঢাকা। সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “দুঃসময়ে যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমরা নিশ্চয়ই তাদের পাশে থাকব। কিন্তু তারা যদি কোনও অন্যায় করে, সেটা আমরা মানব না। আর আমরা যুদ্ধ চাই না। কিন্তু যুদ্ধটা বাধাল কারা? উসকানিটা দিল কারা, সেটাও আপনাদের দেখতে হবে। যেহেতু একটি দেশের বিরুদ্ধে, এ জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা ভোট দেব না।”
উল্লেখ্য, মার্কিন চাপ থাকলেও ঢাকা যে আসলে মস্কোর পাশেই আছে এদিন সংসদে সেই বার্তাই দিলেন হাসিনা। এর আগে ২০২১ সালে আমেরিকার গণতন্ত্র সম্মেলনে যোগ দেয়নি বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে যথাসাধ্য পদক্ষেপ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। তাই সেবার আমেরিকার গণতন্ত্র সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা।