সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিদিনই নানা ধরনের ঘটনা, গল্প, মুখ, আতঙ্ক, ঘৃণা ভিড় করে স্বপ্নে। তার অনেক কিছুই মনে থাকে। আবার পরেরদিন ঘুম ভাঙলে বেশ কিছু আর কোনওভাবেই মনে পড়ে না। অনেকে এসব নিয়ে মাথা না ঘামালেও কেউ কেউ কিন্তু স্বপ্নে দেখা বিষয়টির অন্তর্নিহিত অর্থ খোঁজার চেষ্টা করেন। আপনিও যদি সেই দলে পড়েন, তবে জেনে নিন আপনার দেখা স্বপ্নের নিগূঢ় অর্থ।
আমরা স্বপ্নে কী দেখব, তা আমাদের হাতে নেই ঠিকই। কিন্তু তার ব্যাখ্যা পেলে কী করণীয়, তা অন্তত উপলব্ধি করা যায়। সাধারণত, অতীত কিংবা ভবিষ্যতের সঙ্গে যুক্ত কোনও বিষয়ই ফুটে ওঠে স্বপ্নে। যেমন ধরুন অনেকে স্বপ্নে সাপ দেখলে মা মনসার পুজো দিয়ে থাকেন। বিষয়টিকে সমাজের একাংশ কুসংস্কার আখ্যা দিলেও ঈশ্বর বিশ্বাসেই এমনটা করে থাকেন অনেকে। ঠিক তেমনই যদি স্বপ্নে সিদ্ধিদাতার আগমন ঘটে থাকে, তাহলে এ স্বপ্নের নেপথ্যে কোনও ঈশ্বরিক কারণ লুকিয়ে রয়েছে কি না, কীভাবে বুঝবেন? বুঝলেও তা ঠিক কী?
[আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের জন্য ১০৮ ফুট উঁচু হনুমানের মূর্তি তৈরি করতে চান এই ‘ভক্ত’]
প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া ভাল, স্বপ্নে গণপতি (Lord Ganesha) দর্শন কিন্তু অত্যন্ত শুভ। কারণ গণেশের আরেক না বিঘ্নহর্তা। অর্থাৎ তিনি বিঘ্ন দূর করতেই আবির্ভূত হন। মর্তে শিব ও পার্বতীর পুত্রের পুজোই কিন্তু সর্বাগ্রে হয়। যে কোনও শুভ ব্যবসা বা কাজ শুরুর আগে কিংবা নতুন বাড়িতে প্রবেশের আগে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গণেশ পুজোই করে থাকেন। বিশ্বাস, এতে সব ধরনের প্রতিকূলতা দূরে থাকবে। তাই কারও স্বপ্নে গণপতির দর্শন হলে, বুঝবেন শীঘ্রই তাঁর জীবনে কোনও সাফল্য আসবে।
গণেশ মানেই কিন্তু শুভ যোগ। তাই সিদ্ধিদাতার স্বপ্ন দেখার আরও এক অর্থ আপনার মাথার উপর ঈশ্বরের আশীর্বাদ রয়েছে। এখানেই শেষ হয়। পার্বতীপুত্রের আরেক নাম সুখকর্তা। অর্থাৎ এই দেবতার দর্শনে জীবন ও সংসারে আনন্দে খবর আসে। স্বপ্নে গণেশকে দেখলে খুশির সংবাদের অপেক্ষায় থাকতেই পারেন। নতুনভাবে জীবন শুরু করার ইঙ্গিতও থাকে এই স্বপ্নে। এই স্বপ্নের আরও একটি অন্তর্নিহিত অর্থ আছে। ধরুন, সাম্প্রতিক অতীতে কোনও সংকল্প করেছিলেন, কিন্তু নানা কারণে তা ভুলেই গিয়েছেন। এই স্বপ্নের পর সেটিও মনে পড়ে যাবে। আপনাকে স্মরণকরিয়ে দেবে, প্রতিজ্ঞা পালনের প্রয়োজনীয়তা।
[আরও পড়ুন: মাতৃ প্রতিমার চোখ দিয়ে গড়াচ্ছে জল! মা কালীর ‘কান্না’ দেখতে হুড়োহুড়ি বহরমপুরে]
বিঃ দ্রঃ- কোনও কুসংস্কারে উৎসাহ দেয় না সংবাদ প্রতিদিন। সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও বিষেশজ্ঞদের বিশ্লেষণের ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন।